ফিলিস্তিনের বিপক্ষে হারের পর কিরগিজস্তানের বিপক্ষেও হারই সঙ্গী হলো বাংলাদেশের। নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে নামার আগে লক্ষ্য ছিলো আগের ম্যাচের ভুলগুলো শুধরে ভালো ফুটবল উপহার দেওয়া। কিন্তু মাঠে তার বিন্দুমাত্র প্রয়োগ দেখা যায়নি ফুটবলারদের কাছ থেকে। বল দখলে রাখতে না পারা, ভুল পাসের মতো পুরনো সমস্যা এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেনি জেমি ডে’র শিষ্যরা।
আগের ম্যাচের একাদশ থেকে ৪ পরিবর্তন নিয়ে কিরগিজদের বিপক্ষে একাদশ সাজান জেমি। গোলপোস্টে সোহেলের জায়গায় ফিরেন জিকো। এছাড়াও রেজাউল, সোহেল রানা এবং সাদ উদ্দিনের জায়গায় একাদশে সুযোগ পান রিয়াদুল, রাহবার এবং সুফিল।
ম্যাচের মাত্র দশম মিনিটেই এলডারের এগিয়ে যায় কিরগিজস্তান। সেট পিস থেকে হেডে গোল করেন এই কিরগিজ মিডফিল্ডার। তবে মাত্র ২৩ মিনিটেই রাহবার কে তুলে সোহেল রানাকে মাঠে নামান জেমি ডে। ৩৩ মিনিটে বিশ্বনাথকে তুলে রহমতকে মাঠে নামান জেমি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উল্টো ৪০ মিনিটে আলিমারদনের গোল ২-০ তে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। ২-০ স্কোরলাইন নিয়েই বিরতিতে যায় দুইদল।
বিরতি থেকে ফিরে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ৪৭তম মিনিটে স্কোরলাইন ৩-০ করেন তুরুসুনালি। অবশ্য এর কিছুক্ষণ পরেই ৫৩তম মিনিটে বাংলাদেশের হয়ে সান্তনাসূচক একটি গোল করেন মাহবুবুর রহমান সুফিল। এরপর ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে ৯০তম মিনিটে বাংলাদেশের কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুকে দেন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের মিডফিল্ডার বখতিয়ার দুশবেকব। ২ ম্যাচে ২ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে থ্রি নেশন্স কাপের চ্যাম্পিয়ন হলো স্বাগতিক কিরগিজিস্তান।
আর ২ ম্যাচে ২ হারে খালি হাতেই টুর্নামেন্ট শেষ করলো বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ে ২ ম্যাচে ৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রইলো ফিলিস্তিন। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর কিরগিজস্তান সফরে নিজেদের শেষ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ কিরগিজ অনূর্ধ্ব-২৩ দল।
প্রধান অথিতি হিসেবে আজ মাঠে উপস্থিত থেকে পুরো ম্যাচ উপভোগ করেন কিরগিজ প্রেসিডেন্ট সাদির নুরগোজোয়েভিচ জাপারভ।