মালদ্বীপের বিপক্ষে হারই যেনো বাংলাদেশের ফাইনাল খেলার মাঝে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরপর নেপালের বিপক্ষে ভারতের জয় এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মালদ্বীপের জয় বাংলাদেশকে ফেলে দিয়েছে শঙ্কায়। মালদ্বীপের বিপক্ষে বাংলাদেশের পরাজয়ের মূল কারণ বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে বাংলাদেশের ব্যর্থতার পাশাপাশি পারিপার্শ্বিক অবস্থাও এই পরাজয়ের কারণ।
এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দীন বলেন, ‘প্রথম ম্যাচে আমরা জয় পেয়েছি। দ্বিতীয় ম্যাচে আমরা ভারতের বিপক্ষে দশজনের দল নিয়ে পিছে থেকেও পরে ম্যাচ ড্র করেছি। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে আমরা শারীরিক ও মানসিকভাবে হেরে গেছি। এই বিষয়ে আমি যখন কোচের সাথে কথা বলি তিনি আমাকে জানান আমরা সাতদিনে তিনটা ম্যাচ খেলেছি,অন্যদিকে মালদ্বীপ তাদের শেষ ম্যাচ খেলেছিলো পাঁচদিন আগে। এতে করে আমাদের খেলোয়াড়েরা ক্লান্ত থাকলেও মালদ্বীপের খেলোয়াড়েরা ম্যাচের আগে অনেক সময় পেয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘শারিরীকভাবে আমরা পুরোপুরি পিছিয়ে ছিলাম। তারপর ডিফেন্সের ব্যর্থতায় আমরা প্রথম গোল হজম করি এবং পেনাল্টিতেও আমরা গোল হজম করি। এতে করে দলটি ঘুরে দাঁড়াতেই পারে নি। এক্ষেত্রে কোচ কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন পূর্ববর্তী ম্যাচে কার্ড দেখায় আমাদের দুইজন খেলোয়াড় ছিলো না। তার থেকেও বড় কারণ হলো শারিরীক যে ব্যাপারটা। এটিই আমাদের হারের পিছনে অন্যতম একটি কারণ।’
বাংলাদেশের পরবর্তী তথা শেষ ম্যাচ রয়েছে নেপালের বিপক্ষে। ভারত ও মালদ্বীপ তাদের ৩য় ম্যাচে জয় পাওয়ায় বাংলাদেশ ও নেপালের ম্যাচ এখন অঘোষিত এক সেমিফাইনাল। নেপাল জয় পেলে কিংবা ড্র করলেও পেয়ে যাবে ফাইনালের টিকিট। অন্যদিকে ফাইনাল খেলতে হলে জয় ছাড়া আর কোনো পথই খোলা নেই বাংলাদেশের কাছে।
বাংলাদেশ ও নেপালের ম্যাচ প্রসঙ্গে কাজী সালাউদ্দীন বলেন, ‘টুর্ণামেন্ট এখন যে পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে টুর্ণামেন্টের শেষ দুইটি ম্যাচ সেমিফাইনালের মতো হয়ে গেছে। যে দুইটি দল তাদের শেষ ম্যাচটিতে জয় পাবে তারাই ফাইনাল খেলবে। এটিকে এখন পুরোপুরি সেমিফাইনালই বলা চলে।’
তিনি বলেন, ‘এখন আর কোনো গল্প করার জায়গা নেই, কোনো এক্সকিউজ দেখানোর জায়গা নেই। ফাইনাল খেলতে হলে আপনাকে অবশ্যই সেমিফাইনালে জয় পেতে হবে। তাই আমাদের নেপাল বিপক্ষে জিততেই হবে,বিকল্প কোনো পথ খোলা নেই। এটা আমাদের কাছে ‘ডু অর ডাই’ ম্যাচ।’