সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে বাঁচা মরার লড়াইয়ে আগামীকাল বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল। সাফের ফাইনাল খেলতে হলে নেপালকে হারাতেই হবে জামালদের। গত কয়েকটি সাফের শেষ ম্যাচের সমীকরণ মেলাতে পারেনি বাংলাদেশ। আবার প্রতিপক্ষ নেপালের বিপক্ষে সর্বশেষ লড়াইয়ের স্মৃতিও সুখকর নয়। গত মার্চে নেপালে অনুষ্ঠেয় ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ স্বাগতিকদের কাছে হেরে রানার্স আপ হয়েছিল।
আজ নেপালের বিপক্ষে ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে স্বাভাবিকভাবেই প্রসঙ্গগুলো উঠে আসছিল বারবার। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া এই নিয়ে বলেন, ‘অতীতে কি হয়েছিল সেটা আর মনে করতে চাই না। আমরা সামনে এগিয়ে যেতে চাই।’
সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে জামালদের সামনে বাধা নেপাল। হিমালয় কন্যাদের হারাতে পারলে বাংলাদেশ ১৬ বছর পর ফাইনাল খেলবে। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া আশা দেখালেন দেশবাসীকে, ‘আমাদের এই দলটা ভালো। লিগের সেরা খেলোয়াড়রা এই দলে রয়েছে। আমরা ইতিহাস তৈরি করতে পারি।’
‘বাংলাদেশের ফরোয়ার্ডরা গোল করতে পারে না’– এই কথাটি যেনো এখন একবারে তিক্ত সত্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়ার কথা, ‘গোলের সংকট বা স্কোরিং নিয়ে সমস্যা এটা মিডিয়ার কথা। আমি কোনো সংকট দেখি না। ১১ জনের মধ্যে যে কেউ গোল করতে পারে। বাংলাদেশ দলের হয়ে যে কেউ গোল করলেই হয়।’
মালদ্বীপে বাংলাদেশ দল ভালোই সমর্থন পাচ্ছে। বিশেষ করে শ্রীলংকা এবং ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে যেনো মনে হয়েছে বাংলাদেশ খেলছে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। কিন্তু মালদ্বীপের বিপক্ষে ম্যাচে বাংলাদেশীদের জন্য টিকেট বরাদ্দ কম থাকায় তেমন সমর্থন পাননি জামাল-তপুরা। তবে আগামী ম্যাচে সমর্থকদের কাছে বাড়তি সমর্থন চেয়েছেন অধিনায়ক, ‘মালদ্বীপে আমরা অনেক সমর্থন পাচ্ছি। আশা করি আগামী ম্যাচেও এর ধারাবাহিকতা থাকবে। মালদ্বীপ ম্যাচ খুব কম টিকিট পেয়েছিল বাংলাদেশিরা। এই ম্যাচে আশা করছি অনেকে আসবে ,সবাই সমর্থন দেবে।’