তিন ক্লাব থেকে টাকা নেয়ার শিরোনামে কিছুটা আশ্চর্য? আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। বাংলাদেশের ফুটবলে এটি একটি সাধারণ ঘটনার মতোই। তবে আসন্ন ফুটবল মৌসুমে ডিফেন্ডার আতিকুজ্জামান বিপাকেই পড়তে পারেন এই ঘটনায়।
গত সেপ্টেম্বরে কিরগিজস্তানে অনুষ্ঠিত তিনজাতি ফুটবল টুর্নামেন্টে প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন আতিকুজ্জামান। অবশ্য গত মৌসুমে পারফর্মেন্স দিয়েই আলোচনায় ছিলেন তিনি এবার বিতর্কেও জড়ালো আতিকুজ্জামানের নাম! মোহামেডান ও আবাহনী থেকে অগ্রীম অর্থ নিয়ে এখন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে যোগ দিয়েছেন এই ডিফেন্ডার।
গত মৌসুমে মোহামেডানে খেলেছেন আতিক। এবারও সাদা-কালো ক্লাবটিতে খেলার জন্য অগ্রিম অর্থও নিয়েছেন। এছাড়া ঢাকা আবাহনী থেকেও অর্থ নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের দলনপতা আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স এবং আবাহনী লিমিটেডের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রূপু অগ্রীম অর্থ দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পাশাপাশি আতিকুজ্জামানের বিপক্ষে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব লিমিটেড।
তবে তার বর্তমান ক্লাব শেখ জামালের ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন চুন্নুর দাবি সঠিক ভাবেই তাদের হয়ে দলবদল করেছেন আতিকুজ্জামান। যেহেতু শেখ জামালের হয়ে পেশাদার লিগের ফরমে সই করেছেন সেক্ষেত্রে আগামী মৌসুম তাদের হয়েই খেলবেন তিনি। তবে এরই সাথে দলবদল নিয়ে যাতে কোনো প্রকার বিতর্কিত পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেদিকেও দৃষ্টি রাখতে বললেন সাবেক এই ফুটবলার।
আতিকুজ্জামানের বিষয়ে মোহামেডানের দেয়া অভিযোগের চিঠি পেয়েছে বাফুফে। আনুষ্ঠানিক দলবদলের সময় শেষ হলে অগ্রীম অর্থ নেওয়ার বিষয়টি সমাধানে ক্লাবের সঙ্গে সমঝোতা করার জন্য ৩ দিন সময় দেওয়া হবে। সমাধান না হলে বিষয়টি প্লেয়ার্স স্ট্যাটাস কমিটির কাছে যাবে।
নিজেদের দ্বিতীয় মৌসুমেই বসুন্ধরা কিংস দলে নিয়েছিলো ডিফেন্ডার মনির হোসেনকে। আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে সংবাদ মাধ্যমের সামনেও আনেন তারা। কিন্তু পরবর্তীতে তাকে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবে খেলতে দেখা যায়। এই রকমের অনেক ঘটনাই রয়েছে দেশের ফুটবলে যার সর্বশেষ সংযুক্তি আতিকুজ্জামান। তবে এই মৌসুমের ঘটনা এখনও শেষ হচ্ছে না বলেই মনেহয়। ফরোয়ার্ড সুমন রেজার বিষয় এখনও ঝুলে আছে। জাতীয় দলের লংঙ্কা সফর শেষেই বোঝা যাবে তিনি অদৌ বসুন্ধরা কিংসে যোগ দিচ্ছেন, নাকি রয়ে যাবে শেখ রাসেলের ডেরায়।