কোচ বদল ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব এই দুটি বিষয় কয়েকবারই খবরের শিরোনাম হয়েছে। গত বছরই পল পুটের মতো হাই প্রোফাইল কোচ মৌসুমের মাঝ পথেই বিদায় নেন। এরপর স্টুয়ার্ট হল দায়িত্ব নিয়ে মৌসুম শেষের আগেই ফিরে যান। শেষ মৌসুমে দুই দফা সহকারী কোচ জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু দলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেন।
নতুন মৌসুমে সাইফের নতুন পরিকল্পনায় আর্জেন্টাইন কোচ আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানী। ক্রুসিয়ানীর পরিচয় বাংলাদেশের সফল কোচ হিসেবে। ২০০৫ সালে তিনিই শেষবারের মতো বাংলাদেশকে সাফের ফাইনালে তুলেছিলেন। এরপর আবাহনীর কোচ হিসেবেও সফল হয়েছিলেন।
২০১৭ সালে আফ্রিকার দেশ ক্যামেরুনের এক ক্লাবে কোচিং করিয়েছিলেন সর্বশেষ। এরপর তিন বছর অসুস্থতার জন্য পেশাদার কোচিংয়ে ছিলেন না। গত কয়েক বছর নিজের একাডেমিতে সময় দিয়েছেন। পেশাদার ফুটবল জগৎ থেকে কিছুটা দূরত্ব থাকলেও ক্রুসিয়ানীর ওপর আস্থা রাখছেন সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিরউদ্দিন চৌধুরী।
‘সে বাংলাদেশের ফুটবল ও খেলোয়াড় সম্পর্কে যথেষ্ট ধারণা রাখে। তাছাড়া আমাদের সিভি ব্যাংকে ৫০-৬০ টির মতো কোচের সিভি ছিল। এর মধ্যে আমাদের কাছে ক্রুসিয়ানীকে সেরা মনে হয়েছে। তাই তাকে বেছে নিয়েছি।’
বাংলাদেশের পুনরায় ফিরতে পেরে সন্তুষ্ট ক্রুসিয়ানী নিজেও, ‘সাইফের প্রস্তাব পেয়ে আমি খুব খুশি হয়েছি। বাংলাদেশে আবার ফিরতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত।’
প্রতিষ্ঠার পর থেকে এখনো কোনো শিরোপার মুখ দেখেনি সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব।সাইফের প্রথম শিরোপা কি তার হাত ধরেই আসবে?
সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ক্রুসিয়ানী বলেন, ‘অবশ্যই আমার চেষ্টা থাকবে শিরোপা জেতার, তবে কাজটা কঠিন। আমি চ্যালেঞ্জ নিতে চাই।’
বড় শক্তিকে পরাস্ত করে লিগ জেতা প্রসঙ্গে ক্রুসিয়ানী বলেন, ‘অনেক সময় কোচরা সুন্দর সুন্দর কথা বলেন। মাঠে তেমন সুন্দর কাজ দেখা যায় না। আমি তেমন কিছু বলব না। কথা নয়, কাজ করে দেখাতে চাই।’
বসুন্ধরা কিংস, ঢাকা আবাহনী, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব শিরোপার বড় প্রতিদ্বন্দ্বী সাইফের। কাগজে-কলমে তারা মৌসুমের সেরা দল। তবে সাইফ স্পোর্টিং গত কয়েক মৌসুমের মধ্যে নিজেদের সেরা দল গড়ছে বলে জানালেন ক্লাবটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ‘আমাদের এবার বিদেশি ও দেশি দুই ধরনের খেলোয়াড় সংগ্রহ দারুণ হয়েছে। বিশেষ করে স্কোরিং লাইনে উচ্ছ্বাসসহ অনেককে নিয়েছি।’