তীরে এসে তরী ডুবানো বাংলাদেশ দলের এক দূরারোগ্য ব্যাধির নাম। পুরো লড়াই করলেও শেষের ১০ মিনিট যেনো বাঘের ঘাড়ে ভূত চাপে। অদৃশ্য এই ভূতের ভোজবাজিতে প্রতিবারই শেষের দশ মিনিট ছন্নছাড়া হয়ে যায় বাংলাদেশের রক্ষণভাগ। এটারই সুযোগ নিয়ে প্রতিপক্ষ দল গোল করে বসে। ফলে বাংলাদেশ দলের ভাগ্যে জুটে হয় হার আর না হয় ড্র এবং ভক্তদের ভাগ্যে জুটে একরাশ হতাশা।
পরপর দুইদিন ম্যাচ পেছানোর পর অবশেষে মাঠে গড়ালো বাংলাদেশ এবং সিশেলসের ম্যাচ। শ্রীলঙ্কায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করায় পরপর দুই ধাপ পিছিয়ে যায় ম্যাচ শিডিউল। র্যাংকিংয়ের বিচারে দুইদল একই ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। ফুটবল র্যাংকিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ১৮৭ তম বিপরীতে সিশেলসের অবস্থান ১৯৯ তম।
এছাড়াও এখন পর্যন্ত দুইদল কখনই একে অপরের মুখোমুখি না হওয়ায় তাই এই ম্যাচটি ছিলো উভয়ের জন্যে নতুন এক অভিজ্ঞতা। ম্যাচটি শ্রীলঙ্কার রেসকোর্স ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে বিকাল ৪:৩০ শুরু হয়।
ম্যাচের শুরুতেই ম্যাচে লিড নিয়ে নেয় বাংলাদেশ। ১৭ মিনিটে মোহাম্মদ ইব্রাহিম দলকে লিড এনে দেয়। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের ভুলে বক্সের সামনে বল পেয়ে যান ইব্রাহিম। সেখান থেকে হালকা সামনে বল জোরালো শটে গোল আদায় করে নেন এই ফরোয়ার্ড। সিশেলসের গোলরক্ষক ডানপাশে ঝাপিয়ে পড়েও বল ঠেকাতে ব্যর্থ হন। এই এক গোলের লিড নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে বাংলাদেশ দল।
দ্বিতীয়ার্ধেও প্রতিপক্ষের রক্ষণভাগে আক্রমণ চালায় দুইদল। তবে গোলের সফলতা হাতে ধরা দিচ্ছিলো। তবে ম্যাচের শেষ মুহুর্তে ম্যাচের নাটকীয়তা ভিন্ন এক মোড় নেয়। সবাই যখন ভেবেছিলো বাংলাদেশের জয় অবিসম্ভবী। তখনই ডিবক্সের ভিতর থেকে শট বাংলাদেশ গোলপোস্ট ভেদ করে সিশলেসের খেলোয়াড় রাশিদ।
ফলে ১-১ গোলের ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। ম্যাচের এক পয়েন্ট ফেলেও বাকি দুই পয়েন্টের আক্ষেপ নিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরে আসে জামাল ভূঁইয়ারা।
আজকের পুরো ম্যাচে মারিও লেমোস চারটি বদলি করেছে। ৬৭ মিনিটে ফাহাদ ও সাদ উদ্দিনকে উঠিয়ে মাঠে বদলি হিসেবে নামে মোহাম্মদ হৃদয় ও জুয়েল রানা। ৭৬ মিনিটে সুমন রেজার বদলি হিসেবে মাঠে নামে সুফিল। ম্যাচের ইঞ্জুরি টাইমে আজকের দিনের গোলস্কোরার মোহাম্মদ ইব্রাহিমে বদলি হিসেবে নামে ইয়াসিন। আগামী ১২ নভেম্বর পরবর্তী ম্যাচে মালদ্বীপের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।