আরো একটি ব্যর্থ টুর্নামেন্ট শেষ করে শ্রীলংকা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। সাফের ব্যার্থতা ঘুচানোর যে লক্ষ্য নিয়ে শ্রীলঙ্কায় চার জাতি আমন্ত্রণমূলক ফুটবল টুর্নামেন্ট মাহিন্দ রাজাপক্ষ কাপে অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ সেখান থেকে মালদ্বীপের বিপক্ষে ১৮ বছর পর পাওয়া জয় ছাড়া আর কোনো প্রাপ্তিই নেই জামাল ভুঁইয়াদের।
তিন ম্যাচ খেলে খর্বশক্তির সিশেলসের বিপক্ষে ড্র এবং র্যাংকিংয়ে ২০৪ এ থাকা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হার কোনো ভাবেই মেনে নেওয়ার মতো না বাংলাদেশের দর্শকদের। মাঠের খেলায় ফুটবলারদের মনোযোগ, দলের প্রতি নিবেদন নিয়েও প্রশ্ন উঠার অনেক জায়গা রয়েছে।
তাইতো দেশে ফিরে দলের পারফরমেন্সে স্বভাবতই হতাশ শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্ব পালন করা মারিও লেমোস। বিমানবন্দরে মারিও লেমোস বলেন, “আমাদের মূল লক্ষ্য ছিল ফাইনাল খেলা, আমরা যেভাবে ফাইনাল খেলার সুযোগ হারিয়েছি সেটা সত্যিই হতাশাজনক। তবে আমার খেলোয়াড়রা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে।”
প্রস্তুতি স্বল্পতা নিয়ে আক্ষেপ থাকলেও দিনশেষে ভাগ্যকেই দুষছেন লেমোস, “তিন দিনের প্রস্তুতি কখনোই পর্যাপ্ত হতে পারে না। কিন্তু আমরা এই অল্প সময়ের মধ্যেও মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছি, ফুটবলাররাও নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছে। আমরা ফাইনালের খুব কাছাকাছি ছিলাম। শেষ মিনিটে পেনাল্টি থেকে আমাদের স্বপ্নভঙ্গ হলো। এটা ফুটবল, এখানে সবকিছুই ঘটতে পারে।”
টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলতে না পারার কারণ হিসেবে জাতীয় দলের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রুপুর কাঠগড়ায় শেষ মুহূর্তে ফুটবলারদের মনোযোগ ধরে রাখতে না পারা। “আমাদের লক্ষ্য ছিল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা এবং চ্যাম্পিয়ন হওয়া। সিশেলসের শেষ ৩ মিনিট এবং শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শেষের ২ মিনিটেই আমরা পুরো টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে গিয়েছি। পাশাপাশি গোল মিসের মহড়া ও অপ্রত্যাশিত ভাবে গোল হজম করাও টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেওয়ার অন্যতম কারণ”
কোচ ও ম্যানেজারের কথার সাথে সহমত পোষন করে ফরোয়ার্ড সুমন রেজা টুর্নামেন্টে ব্যার্থতার দায় নিজেদের কাধেই নিলেন, “আমরা আশানুরূপ ফলাফল করতে পারিনি এবং নিজেদের ব্যর্থতার কারণেই ফাইনাল খেলতে পারিনি। ফিনিশিং নিয়ে কাজ করার আরো অনেক জায়গা রয়েছে। আশা করছি সামনের ম্যাচগুলো তে নিজেদের ভুলগুলো শুধরে মাঠে নামতে পারবো যাতে আর পরিস্থিতির শিকার হতে না হয়।”
আপাতত জাতীয় দলের কোনো ম্যাচ নেই। ফুটবলাররা এখন নিজ নিজ পরিবারের সাথে সময় কাটাবেন। আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে ফেডারেশন কাপ দিয়ে শুরু হওয়ার কথা নতুন ফুটবল মৌসুম। সে অনুযায়ী জাতীয় দলের ফুটবলাররা ছুটি কাটিয়ে শীগ্রই নিজ নিজ ক্লাবের প্রাক মৌসুম প্রস্তুতিতে যোগ দেবেন।