দলবদলের শুরুতেই মালির ফরোয়ার্ড সোলেমান ডাইবেটকে ধরে রাখার বিষয়টি নিশ্চিত করে ঐতিহ্যবাহী ঢাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। পাশপাশি ফিরিয়ে আনেন ওবি মনেকে’কে। এবার ক্লাবটি নিশ্চিত করেছে দুজন সেন্টারব্যাককে। নর্থ মেসিডোনিয়ার জেসমিন মেচিনোভিচ ও অস্ট্রেলিয়ার অ্যারন রিয়ার্ডনকে দলভুক্ত করেছে সাদা কালো শিবির।
এর আগে ইংলিশ ডিফেন্ডার চার্লি ক্লাফকে দলে নেয়ার একেবারে কাছাকাছি ছিলো মোহামেডান। কিন্তু শেষ মুহূর্তে কিছু কাগজপত্রের জটিলতায় তাকে দলভুক্ত করতে পারেনি তারা। এই প্রসঙ্গে মোহামেডানের ফুটবল কমিটির পরিচালক আবু হাসান চৌধুরী প্রিন্স অফসাইডকে বলেন, ‘সে ভালো খেলোয়াড়। ওর সাথে আমরা চুক্তির দ্বারপ্রান্তে ছিলাম। কিন্তু ওর কাগজ পত্রে কিছু সমস্যা থাকায় ওকে বাদ দিতে হয়েছে।’
নর্থ মেসিডোনিয়ার মেচিনোভিচ নিজ দেশের প্রথম সারির দল এফসি স্ট্রুগাতে সর্বশেষ খেলেছেন। এছাড়া হাঙ্গেরি, মালদোবা, কসোভো, মালেশিয়া, ইন্দোনেশিয়ার লিগের প্রথম সারির দলগুলোতে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। এছাড়া নর্থ মেসিডোনিয়ার অনুর্ধ্ব ২৩ দলের হয়ে ৯ ম্যাচ খেলেছেন তিনি। ডাক পেয়েছিলেন জাতীয় দলের প্রাথমিক স্কোয়াডেও, তবে মূল দলে জায়গা হয়নি।
অস্ট্রেলিয়ার অ্যারন রিয়ার্ডন অস্ট্রেলিয়ার প্রথম সারির ও দ্বিতীয় সারির লিগে খেলেছেন। ২২ বছর বয়সী এই সেন্টার ডিফেন্ডার অস্ট্রেলিয়ার অনুর্ধ্ব ১৭ ও ২০ দলের হয়ে খেলেছেন। সর্বশেষ তিনি অস্ট্রেলিয়ান ক্লাব মেলবোর্ন সার্কস এর হয়ে খেলেছেন।
এই দুই ডিফেন্ডার যে বাংলাদেশের যে কোন ক্লাবের আক্রমণভাগের জন্য বড় বাঁধা হতে যাচ্ছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। নিজেদের সক্ষমতা অনুযায়ী খেলতে পারলে কঠিন চ্যালেঞ্জই সবাইকে ছুড়ে দিবে তারা। বলার অপেক্ষা রাখে না, মেচিনোভিচ ও রিয়ার্ডন এবারের লিগের সবচেয়ে শক্তিশালী ডিফেন্সিভ ডুয়ো। তবে মাঠে থাকা মোহামেডানের বাকি খেলোয়াড়রা তাদের কতটুকু সহযোগিতা করতে পারবে তাই এখন বড় প্রশ্ন।