শেষ ম্যাচে ড্র করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পা রাখলো শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। গ্রুপ ‘বি’-এর নিজেদের শেষ ম্যাচে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের বিপক্ষে মাঠে নামে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে মাঠে গড়ায় ম্যাচটি। এলোমেলো আক্রমণে পরিপূর্ণ ম্যাচটি ১-১ ড্র হয়।
ম্যাচের ২৭ মিনিটে শেখ মুজিবুর ধানমন্ডি ক্লাবের রাহবার খান মধ্যমাঠের সামনের থেকে মাঠে ডানপ্রান্তে থাকা শাহিনের কাছে বড় বাড়ান। বল পেয়ে কাট করে ডানপ্রান্ত থেকে ভেতরে ঢুকে জায়গা তৈরি করে। জায়গা তৈরি করে গোলপোস্টকে টার্গেট বানিয়ে বাম পায়ের এক জোরালো শট নেন। শেখ রাসেলের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা বামদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বল ঠেকানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু বল সরাসরি গোলপোস্টেই বিদ্ধ হয় এবং ম্যাচে এক গোলে এগিয়ে যায় শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব।
তবে লিড দুই মিনিটও ধরে রাখতে পারে নি শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাব। শেখ রাসেলের খেলোয়াড় আইল্টন মাসাদো মাঝমাঠের নিচ থেকে দ্রুতবেগে বল নিয়ে উপরে উঠে আসেন। একজনকে কাটিয়ে ইসমাইল রুডিকে লক্ষ্য করে থ্রু পাস বাড়ান। বল আটকাতে শেখ জামালের গোলরক্ষক নাইম এগিয়ে আসেন। তবে ইসমাইল তাকে পাশ কাটিয়ে বলকে ফাঁকা জালে পাঠিয়ে দিয়ে ম্যাচের সমতা ফিরিয়ে আনেন।
ম্যাচের ৪০ মিনিটে ইসমাইল রুডি থ্রু দেন আইল্টন মাসাদোর কাছে। মাসাদো চলন্ত বলকে গোলকিপারের মাথার উপর দিয়ে তুলে দিয়ে পাশ কাটান। তারপর ফাঁকা পোস্টে বলি শট নেন। কিন্তু বল সাইড লাইনের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ফলে ১-১ গোলেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
বিরতি থেকে ফিরে ছন্নছাড়া দুইদল। ছিলো না কোনো পরিকল্পিত আক্রমণ। দ্বিতীয়ার্ধের আর্কষণ বলতে ছিলো শুধুমাত্র গোলপোস্টে কিছু এলোমেলো শট। ম্যাচের ৮৩ মিনিটে আবারো গোলের সুযোগ পায় ইসমাইল। সতীর্থ খেলোয়াড় থিয়াগো ইসমাইল রুডিকে উদ্দেশ্য করে বক্সের সামনে বল বাড়ান। ইসমাইল রুডি বলটিকে নিজের বুক দিয়ে রিসিভ সামনে এগোনো চেষ্টা করে। তবে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবের গোলরক্ষক মোহাম্মদ নাইম জায়গা থেকে বেরিয়ে এসে হাত ঠেলে দিয়ে বলের দিক পরিবর্তন করে দেন। এতে করে আর বলের নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে নি ইসমাইল রুডি।
ইঞ্জুরি টাইমে অল্পের জন্যে গোল হাতছাড়া হয়ে যায় শেখ রাসেলের। হাবিবুর রহমান সোহাগের কর্ণার থেকে শেখ জামালের গোল এরিয়ায় জটলা তৈরি হয়। সেখান বল বক্সের একটু বাইরে এলে খানিকটা জায়গা বের করে অন টার্গেট শট নেন আহমেদোভ। বলটি বারপোস্টের অল্প উপর দিয়ে চলে আর গোল পায় না শেখ রাসেল।
এতে করে ১-১ গোলের ড্র দিয়ে শেষ গ্রুপ ‘বি’-এর সর্বশেষ ম্যাচ। শেষ ম্যাচ ড্রয়ের ফলে ৩ ম্যাচে ২ জয় ১ ড্র দিয়ে মোট ৭ পয়েন্ট গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে যায় শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। পাশাপাশি ৩ ম্যাচে ১ জয় ও ২ ড্র দিয়ে মোট ৫ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে শেখ জামাল ধানমণ্ডি ক্লাবও কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট পেয়ে যায়।