করোনা মহামারি মধ্যেই অনেক দেশে আবার মাঠে গড়িয়েছে ফুটবল। কিন্তু বাংলাদেশ হেটেছে উল্টো পথে। যেহেতু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ খেলার বন্ধের আগে মাত্র শুরুর অবস্থায় ছিলো, তাই নতুন সময়ে খেলা শুরু করে মৌসুমকে দীর্ঘায়িত করেনি ফেডারেশন। বরং দ্রুত নতুন মৌসুম শুরু করার পরিকল্পনা রয়েছে বাংলাদেশ ফুটবলের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থার।
মাঠে খেলা নিয়ে আসার আগে রয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের নির্বাচন। ইতিমধ্যে আগের কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও নির্বাচন পিছিয়ে যাওয়ায় তারা দায়িত্ব পালন করছে। তবে নির্বাচনের কাজ এগিয়ে নিতে কাউন্সিলরদের নাম জমা নিয়েছে ফেডারেশন। এর মধ্যেই তৈরি হয়েছে একটি প্রশ্নের? বাফুফে নির্বাচন জুন নাকি জুলাইয়ে? এই প্রশ্নটি এসে দাড়ায় যখন বাফুফের সিনিয়র সভাপতি তাবিথ আউয়াল ঈদের পরপরই এক টিভি চ্যানেলে জুনের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলে আলোচনার সৃষ্টি করেন।কিন্তু এখন বাফুফে’র নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী প্রক্রিয়াই শুরু করেনি। ভোটাভোটির দিনের আগে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সময় লাগে ২৪ দিনের মতো। তাই সহসভাপতি তাবিথের কথা নিয়ে নানা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে কাউন্সিলরদের মধ্যে।
তবে এই সন্দেহ দূর করেছেন বাফুফে’র সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ, ‘সহসভাপতি সাহেব (তাবিথ আউয়াল) আসলে জুলাইয়ে নির্বাচনের কথা বলতে গিয়ে জুনের কথা বলে ফেলেছেন। ১৫ জুন পর্যন্ত পরিস্থিতি কী হচ্ছে, সেটা প্রথমে দেখতে হবে। এখন লকডাউন শিথিল করা হলেও মানুষের মাস্ক পরে চলা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার পর দেশের পরিস্থিতি কী হচ্ছে, তার ওপর নির্ভর করবে সামনের সিদ্ধান্ত। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ তারিখের পরে নির্বাহী কমিটি হয়তো সভায় বসে নির্বাচনের ইস্যুতে একটা সিদ্ধান্ত নেবে। সবই নির্ভর করছে দেশে করোনা মহামারি পরিস্থিতির ওপর।’
এরই মধ্যে নতুন আরেকটি প্রস্তাব দিয়েছেন সহসভাপতি তাবিথ আউয়াল। তিনি অনলাইন ভোটিংয়ের মাধ্যমে নির্বাচন সেরে ফেলার বিষয়ে মতামত দেন। তবে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ বলেন এটিও করা কষ্টকর। তার ভাষ্য, ‘অনলাইন ভোটিংয়ের সুযোগ নেই আমাদের গঠনতন্ত্রে। এটা তার একান্ত ব্যক্তিগত চিন্তা। সেটা করতে হলে ফিফা-এএফসির অনুমোদন নিয়ে করতে হবে।’