‘বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা অ-১৭ গোল্ডকাপে‘-র ছেলেদের বিভাগে চ্যাম্পিয়ন সিলেট এবং মেয়েদের বিভাগে চ্যাম্পিয়নের ট্রফি পেলো রংপুর। আজ ৯ ডিসেম্বর কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে দুই বিভাগের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হয়। ছেলেদের বিভাগে ফাইনালে মুখোমুখি হয় সিলেট বিভাগ ও রাজশাহী বিভাগ। অন্যদিকে মেয়েদের বিভাগে রংপুর বিভাগ ময়মনসিংহ বিভাগ। ফাইনাল ম্যাচে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি হিসেবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত ১ লা ডিসেম্বর থেকে মাঠে গড়ায় এই টুর্ণামেন্টে। ছেলেদের বিভাগে টুর্ণামেন্টের সূচনা হয় উপজেলা পর্যায় থেকে বিপরীতে মেয়েদের বিভাগে জেলা পর্যায় থেকে টুর্ণামেন্ট শুরু হয়। এরপর সেখান থেকে ধাপে ধাপে এগিয়েছে এসে বিভাগীয় পর্যায়ে আসে। বিভাগীয় পর্যায়ে আটটি বিভাগ নিয়ে শুরু চূড়ান্ত পর্বের খেলা।

ফাইনাল ম্যাচে ছেলেদের বিভাগে সিলেট ও রাজশাহী বিভাগের নির্ধারিত সময়ের খেলা ১-১ গোলে ড্র হয়। ফলে খেলা গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে রাজশাহী বিভাগকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে সিলেট বিভাগ। টুর্ণামেন্টে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয় সিলেট বিভাগীয় দলের অনিক দেব মারমা।

টুর্ণামেন্টে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হতে পেরে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামনে পুরষ্কার গ্রহণ করতে পেরে উচ্ছ্বসিত এবং দেশের জার্সিতে খেলার স্বপ্নের কথাও জানান এই তরুণ প্রতিভাবান ফুটবলার। অনিক বলেন, ‘আমি চিন্তাও করিনি সেরা খেলোয়াড় হতে পারব। তবে অনুশীলনে অনেক পরিশ্রম করেছি তাই ভাল করেছি। প্রধানমন্ত্রীর সামনে পুরস্কার নেওয়া অন্যরকম অনুভূতি। আমার স্বপ্ন একদিন জাতীয় দলের হয়ে খেলা।’

একই দিনে মেয়েদের বিভাগে ফাইনাল ম্যাচে ময়মনসিংহ বিভাগকে ১-০ হারিয়ে চূড়ান্ত জয় পায় রংপুর জেলা। মেয়েদের বিভাগে টুর্ণামেন্টে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয় রংপুর দলের নাসরিন আক্তার। অনিকের মতো নাসরিনের স্বপ্নও জাতীয় দলের হয়ে খেলা। নাসরিন বলেন, ‘সেরা খেলোয়াড় হতে পেরে খুব ভাল লাগছে। দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে পেরে আমি আনন্দিত। দলের সবার সহযোগিতায় আমরা এত দূর এসেছি। আমার ইচ্ছা বাংলাদেশের জাতীয় দলে খেলা।’

ভার্চুয়াল মাধ্যমে সমাপনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। টেলি কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে প্রধান অথিতির বক্তব্যও দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি খেলাধুলা নিয়ে তরুণদের অনুপ্রাণিত করেন। তিনি বলেন, ‘তোমরা মনোযোগ দিয়ে খেলাধুলা করো। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলতে হবে। ১২ মাস যাতে খেলতে পারে সে জন্য ইউনিয়ন পর্যায়ে মাঠের ব্যবস্থার জন্য ইতোমধ্যে ১০ কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে, আরও ১০ কোটি দেয়া হবে। এছাড়া প্রতি বিভাগে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেসপি) গড়ে তোলা হবে। দুটির অনুমোদন দিয়েছি, বাকি গুলো দ্রুত হয়ে যাবে।’

সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার প্রদান করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল এবং বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। উভয় বিভাগের চ্যাম্পিয়ন দলকে ৩ লক্ষ টাকা এবং ট্রফি,রানার্সআপ দুইদলকে ২ লক্ষ টাকা এবং ট্রফি প্রদান করা হয়

উক্ত টুর্ণামেন্ট থেকে ৪০ জন ছেলে ও মেয়ে বাছাই করা হবে। পরবর্তীতে তাদেরকে তিনমাসের প্রশিক্ষণে রাখবে। সেখান থেকে একটি ছেলে ও একটি মেয়েকে প্রশিক্ষণের জন্যে বিদেশে পাঠানো হবে। ২০১৮ সালে টুর্ণামেন্টের প্রথম আসর থেকে ৪ জন খেলোয়াড়কে প্রশিক্ষণের জন্যে ব্রাজিলে পাঠানো হয়েছিলো।

Previous articleস্বাধীনতা কাপের কোয়ার্টার ফাইনালে কে কার প্রতিপক্ষ!
Next articleশিরোপাতেই নজর অনুর্ধ্ব ১৯ নারী দলের কোচ ও অধিনায়কের

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here