ছন্দে থাকা শেখ রাসেলের হঠাৎ ছন্দপতন। গ্রুপ পর্বে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে টিকেট হাতে পাওয়া শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র হোঁচট খেলো বাংলাদেশ পুলিশ এফসির কাছে। স্বাধীনতা কাপ ২০২১-এর তৃতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হয় গ্রুপ ‘বি’-এর চ্যাম্পিয়ন দল শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র এবং গ্রুপ ‘ডি’ এর রানার্সআপ দল বাংলাদেশ পুলিশ এফসি। দুই লাল কার্ডের ম্যাচটিতে পুলিশ এফসি ১-০ ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেয়।
ম্যাচের মাত্র চার মিনিটের মাথায় পুলিশকে লিড এনে দেন পুলিশ এফসির আফগানি ফরোয়ার্ড আমিরদিন শারীফি। ম্যাচের ২৩ মিনিটে সমতায় ফেরার সহজ সুযোগ পায় শেখ রাসেল। কিন্তু হেমন্ত ভিনসেন্টের কর্ণারে ফাঁকা গোলপোস্ট পেয়েও বলে মাথা ছোঁয়াতে পারেনি শেখ মানিক মোল্লা। এর মিনিট তিনেক পর লিড নেয়ার সুযোগের আসে পুলিশ এফসি’র কাছেও। কিন্তু সতীর্থের ফ্রি কিক থেকে তৈরি হওয়া সহজ সুযোগ কাছে লাগাতে পারেননি দানিলো।
৪২ মিনিটে শেখ রাসেলের হেমন্ত ভিনসেন্টকে মুখে আঘাত করে সরাসরি লাল কার্ড দেখেন পুলিশের মোনায়েম খান রাজু। এতে প্রথমার্ধ ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে শেষ করলেও একজন কম নিয়ে খেলার বিপদের আভাস পেয়ে যায় পুলিশ এফসি।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই আক্রমনের ধার বাড়ায় রাসেলের ফুটবলাররা। ম্যাচে ৫২ মিনিটে পুলিশ এফসির জয়ন্ত বক্সের ভিতর শেখ রাসেলের হেমন্তকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় সাইফুল বারী টিটুর দল। কিন্তু এল্টন মাসাদাও এর নেওয়া পেনাল্টি কিক ঠেকিয়ে দেন পুলিশ এফসির গোলরক্ষক নেহাল। পোনল্টি অর্জন করা হেমন্ত খেলার ৬২ মিনিটে ম্যাচের দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে লাল কার্ড নিয়ে মাঠ ছাড়লে রাসেলও দশজনের দলে পরিণত হয়। শেষ পর্যন্ত শেখ রাসেল গোল শোধ না করতে পারায় শারীফির এক গোলের পুঁজিতে সেমি ফাইনালে পৌঁছে যায় পুলিশ এফসি।