এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশন (এএফসি)-র আইকনিক স্টেডিয়ামের তালিকায় স্থান পেয়েছে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম।
ক্রিকেট ভেন্যুর কথা মাথায় রেখে রাজধানী ঢাকার গুলিস্তানে ১৯৫৪ সালে তৈরী করা স্টেডিয়ামটি। পরবর্তীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামের উপর স্টেডিয়ামটির নামকরণ করা হয়। স্টেডিয়ামটি দেশের ক্রীড়া জগতের সাথে বেশ ওতোপ্রোতো ভাবেই জড়িয়ে আছে। ক্রীড়া আসর থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটা অনুষ্ঠান ও সভার আয়োজক এই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম।
আইকনিক স্টেডিয়াম হিসেবে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামকে বাছাই করা নিয়ে এএফসি তাদের এক বিবৃতিতে বলেঃ- “১৯৫৪ সালে ক্রিকেটকে লক্ষ্য করে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের যাত্রা শুরু । তবে সময়ের সাথে দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভেন্যু হিসেবে দাঁড়িয়েছে স্টেডিয়ামটি। শুরুর পর থেকেই বিভিন্ন সময় এই ভেন্যুটির উন্নতি সাধন করা হয়েছে দেশের ক্রীড়ার উন্নয়নের বিকাশ ঘটাতে।”
ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য ঘটনার সাক্ষী। সেগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো কিংবদন্তি বক্সার মোহাম্মদ আলীর ১৯৭৮ সালে এই স্টেডিয়ামে ম্যাচ খেলা। এছাড়াও রয়েছে ২০০৩,২০০৯ এবং ২০১৮ সালের সাফ গেমস। ২০১০ সালে দক্ষিণ এশিয়ান গেমসেরও ভেন্যু ছিলো এই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম। ২০১১ সালে লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনা ও নাইজেরিয়ার মধ্যকার একটি প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছিল এই মাঠে। একই বছরের ক্রিকেট বিশ্বকাপের জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে।
এইদিকে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামকে আইকনিক স্টেডিয়াম হিসেবে বেছে নেয়ার কারণ হিসেবে এএফসির থেকে আরো জানানো হয়, ‘৩৬ হাজার আসন সমৃদ্ধ এই স্টেডিয়ামটি স্বাগতিক দর্শকদের বিনোদনের সবচেয়ে বড় জায়গা। এখানে বিভিন্ন ক্রীড়ার আসর আয়োজন করা হয়েছে, যেগুলোর মধ্যে ২০০৩ সালের সাফ ফুটবলের আসর দর্শক এবং স্টেডিয়ামটির সবচেয়ে স্মরণীয় গৌরবের মুহূর্ত বলে ধরে নেওয়া হয়। যেবার বাংলাদেশ ফুটবল দল ফাইনালে মালদ্বীপকে হারিয়ে শিরোপা নিজের করে নেয়।’
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের পাশাপাশি কলকাতার সল্ট লেক স্টেডিয়াম, উজবেকিস্তানের পাখতা্কর স্টেডিয়াম, ইরানের আজাদী স্টেডিয়াম এএফসির আইকনিক স্টেডিয়ামের তালিকায় স্থান পেয়েছে।