ফেডারেশন কাপে ‘সি’ গ্রুপের ম্যাচে জয় পেয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনী লিমিটেড। দুই অর্ধে বন্দর নগরীর দলটির হয়ে দুই গোল করেছেন আরিফুর রহমান এবং দক্ষিণ আফ্রিকান ফরোয়ার্ড উইলিয়াম তাওয়ালা।
মঙ্গলবার বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামে ম্যাচের দ্বিতীয় মিনিটেই একটি ব্যাক পাস ক্লিয়ার করতে গিয়ে ভুল পাস দিয়ে বসেন পুলিশের গোলকিপার মোহাম্মদ নেহাল। ভুল পাস থেকে বল পেয়ে যান চিটাগাং আবাহনীর রুবেল মিয়া। বল নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সামনে থাকা এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে নেওয়া কোনাকুনি শট ক্রস বারের উপর দিয়ে চলে যায়। ২০ মিনিটে আবারো সুযোগ পেয়েছিল চিটাগাং আবাহনী। ডান দিক থেকে রুবেল মিয়ার খানিকটা উঁচু ক্রস বক্সের মধ্যে অরক্ষিত অবস্থায় থেকেও ঠিক মত নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি ফরোয়ার্ড শাখাওয়াত হোসেন রনি। ২৪ মিনিটে আর ভুল করেনি চট্টলার ক্লাবটি।মিডফিল্ডার সোহেল রানার পাস অফসাইড ফাঁদ ভেঙ্গে বক্সে ঢুকে পড়েন আরিফুর রহমান, পুলিশের গোলরক্ষক নেহালে গিয়ে এসে ক্লিয়ার করার চেষ্টা করলেও পুরোপুরি ক্লিয়ার করতে পারেননি। বলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বা পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন আরিফুর রহমান। এরপর প্রথমার্ধে আর বলারমত তেমন কোনো আক্রমণ করতে পারেনি কেউ। ফলে ১-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে জয় চট্টগ্রাম আবাহনী।
বিরতি থেকে ফিরেই সমতা আনার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ পুলিশ এফসি। ডান দিক থেকে একক প্রচেষ্টায় বল নিয়ে বক্সে ঢুকে পড়েন ফরোয়ার্ড মহিদুল ইসলাম, কোনাকুনি থেকে গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে চিপ করলেও ক্রস বারের সামান্য উপর দিয়ে বাইরে চলে যায়। ৫২তম মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে চট্টগ্রাম আবাহনী। নিজেদের অর্ধ থেকে বল নিয়ে ছুটতে থাকেন আফ্রিকান ফরোয়ার্ড উইলিয়াম। মাঝ মাঠ থেকে খানিকটা সামনে গিয়ে বল বাড়িয়ে দেন শাখাওয়াত রনির উদ্দেশ্যে, তবে বক্সে ঢুকে নেওয়া সাখাওয়াত রনির শট পুলিশ এফসির গোলকিপার মোহাম্মদ নেহাল ডান দিকে ঝাঁপিয়ে রক্ষা করেন। তবে ৬০ মিনিটেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে চট্টগ্রাম আবাহনী। বক্সের সামান্য বাইরে থেকে কামরুলের ভাসানো ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে চট্টগ্রাম আবাহনীর দর্শকদের আনন্দে ভাসান দক্ষিণ আফ্রিকার ফরোয়ার্ড উইলিয়াম তাওয়ালা। যদিও পুলিশ এফসির ব্রাজিলিয়ান ডিফেন্ডার দানিলো বল ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন কিন্তু বল গোল লাইন অতিক্রম করায় গোলের সংকেত দেন সহকারী রেফারি। ম্যাচের শেষ দিকে ব্রাজিলিয়ান ডেনিলসনের শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক সাইফুল ইসলাম। তাই আর গোল শোধ দেওয়া হয়নি পুলিশ এফসির। ফলে ২-০ গোলের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে চট্টগ্রাম আবাহনী।
এই জয়ে শেষ আট নিশ্চিত করলো চট্টগ্রাম আবাহনী। অপরদিকে প্রথম ম্যাচে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করায় শেষ আটে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার গ্রুপের শেষ ম্যাচে লড়বে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব ও চিটাগাং আবাহনী। উক্ত ম্যাচে ড্র করলেই শেষ আটে যাবে সাইফ, হারলেও শেষ আটে যাওয়ার সুযোগ থাকবে সাইফের, তবে গোল ব্যবধানের সমীকরণে যেতে হবে এই সাইফ ও পুলিশকে।