সব ঠিকঠাক, প্রাথমিক খেলোয়াড় তালিকাও তৈরি করে ফেলেছিলো বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। কিন্তু ইন্দোনেশিয়া থেকে এলো কোভিড-১৯ কড়াকড়ির বার্তা। তাদের দেশে খেলোয়াড় ও কর্মকর্তাদের প্রবেশের জন্য অবশ্যই থাকতে হবে কোভিডের দুটি টিকা। কিন্তু বাংলাদেশের অধিকাংশ ফুটবলারেরই দুই ডোজ টিকা নেই এবং সীমিত সময়ে তা নিশ্চিত করাও সম্ভব নয়। তাই বাফুফে সফর বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বছরের প্রথম ফিফা উইন্ডোতে আশিয়ান অঞ্চলের দেশ ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাওয়ায় বেশ উচ্ছ্বসিত হয়েছিল বাংলাদেশের ফুটবল প্রেমীরা। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১৬৪ নম্বর অবস্থানে থাকা ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে ফলাফল যাইহোক না কেনো, নিজেদের ভালোভাবে যাচাই করার পাশাপাশি ভুলগুলো শনাক্ত করার ভালো সুযোগ পেতেন নতুন কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরা। তবে হঠাৎ করেই ইন্দোনেশিয়া সফর বাতিল হয়ে যাওয়ায় সে সুযোগ পাচ্ছেন না সদ্য নিয়োগ পাওয়া এই স্প্যানিশ কোচ। ইন্দোনেশিয়া সফর বাতিল করা সম্পর্কে জাতীয় দল ব্যাবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ বলেন, “আমরা এই দুই ম্যাচ খেলার জন্য সকল প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। কোচও ১৫ তারিখে চলে আসবে, স্কোয়াডও চূড়ান্ত করেছিলাম কিন্তু ইন্দোনেশিয়া থেকে বলা হয়, দলের খেলোয়াড় ও সকল কর্মকর্তাদের দুই ডোজ টিকা সম্পন্ন থাকতে হবে। কিন্তু আমাদের দলের সকল খেলোয়াড়ারের দুই ডোজ টিকা নেওয়া হয়নি। ১৫ ফুটবলার দুই ডোজ নিলেও এক ডোজ নিয়েছেন সাত জন এবং ছয় ফুটবলার এখনো টিকা গ্রহণ করেনি। এর ফলে আমাদের ইন্দোনেশিয়ায় যাওয়া হচ্ছে না।”
তবে মার্চের আগেই জাতীয় দল ও অনুর্ধ্ব-২৩ দল মিলিয়ে প্রায় ৪০-৫০ জনের একটা তালিকা করে সকলকে করোনা টিকার আওতায় আনা হবে বলে জানান কাজী নাবিল আহমেদ। করোনা ভ্যাকসিন সংক্রান্ত জটিলতায় বছরের প্রথম ফিফা উইন্ডোতে ম্যাচ খেলার সুযোগ হারালেও আগামী মার্চে পরবর্তী ফিফা উইন্ডোতে ম্যাচ খেলার ব্যাপারে আশাবাদী এই বাফুফে কর্তা।