সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে অন্তর্বর্তীকালীন কোচ হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে মাত্র ১ সপ্তাহের অনুশীলনের জাতীয় দলের চেহারা অনেকাংশে বদলে দিয়েছিলেন স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজন। অন্তর্বর্তীকালীন কোচের পর এবার আরেকজন স্প্যানিশ কোচের হাতে স্থায়ী ভাবে জাতীয় দলের দায়িত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। ৩৭ বছর বয়সী স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরার অধীনে ইন্দোনেশিয়ায় ২টি প্রীতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু করোনা ভ্যাকসিন সংক্রান্ত জটিলতায় বাতিল হয়েছে ইন্দোনেশিয়া সফর। তাইতো জাতীয় দলের তেমন একটা কাজ নেই ক্যাবরেরার হাতে। তবে কাজ না থাকলেও বসে নেই এই স্প্যানিয়ার্ড।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাবগুলোতে ঘুরে ঘুরে নিয়মিত অনুশীলন দেখছেন এই স্প্যানিয়ার্ড। ক্লাবগুলোতে ক্যাবরেরার ঘুরে ঘুরে অনুশীলন দেখার মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশের ফুটবল সম্পর্কে ধারণা নেওয়া, পাশাপাশি ফুটবলারদের সাথে নিজের সখ্যতা গড়ে তোলা।সেই ধারাবাহিকতায় ঢাকা আবাহনী লিমিটেড, উত্তর বারিধারা ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের পর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের দল ফর্টিজ স্পোর্টস ক্লাবের একাডেমিতে যান হাভিয়ের ক্যাবরেরা। বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে খেললেও এখন থেকেই অনেকটা পেশাদার ফর্টিজ স্পোর্টস ক্লাব। তাইতো সেখানকার পরিবেশ এবং আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা দেখে বেশ খুশি জাতীয় দলের নতুন কোচ। মার্চের ফিফা উইন্ডোতে ম্যাচ খেলার আগে সম্ভব হলে ফর্টিজে জাতীয় দলের ক্যাম্প হতে পারে বলেও মনে করেন এই স্প্যানিশ কোচ। বেরাইদের ফর্টিজ একাডেমি ঘুরে দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে ক্যাবরেরা জানান, “ফর্টিজ একাডেমিতে আসার অনেকগুলো কারণের মধ্যে একটি হচ্ছে, আমি এখানকার মাঠের অবস্থা দেখতে চেয়েছি। জাতীয় দলের ক্যাম্প এখানে করা যায় কিনা, সম্ভাব্য সুবিধাগুলো আছে কিনা, সেটা দেখতে চেয়েছি।”
জানুয়ারিতে খেলতে না পারলেও মার্চের ফিফা উইন্ডোতে প্রীতি ম্যাচ খেলার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বাফুফে। তাই মার্চের উইন্ডোর আগে আবাসিক ক্যাম্প করার চিন্তা-ভাবনা করছেন নতুন এই কোচ। আবাসিক ক্যাম্প করার জন্য ফর্টিজ স্পোর্টস ক্লাবকে নিজের পছন্দের তালিকায় রেখে ক্যাবরেরা বলেন, “মার্চে ফিফা উইন্ডো আছে। তখন কিছু ম্যাচ খেলার লক্ষ্য আছে আমাদের। এ জন্য আমি আগেই ক্যাম্প করতে চাই। ক্যাম্পের ভেন্যু হিসাবে ফর্টিজ একাডেমি একটা বিকল্প হতে পারে। এছাড়া সিলেট বা চট্টগ্রাম যেখানে আবাসন এবং অনুশীলন মাঠের পর্যাপ্ত সুবিধা আছে, সেখানেও হতে পারে।”
বাংলাদেশের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ফুটবলারদের সঙ্গে নিজের একটা বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন এই স্প্যানিশ কোচ। ক্লাবে ক্লাবে ঘুরে স্থানীয় ফুটবলারদের সাথে কথা বলার পাশাপাশি অস্ত্রোপচারের জন্য ভারতের থাকা জাতীয় দলের অভিজ্ঞ ডিফেন্ডার তপু বর্মণের সঙ্গেও কথা বলে তপুকে সাহস যুগিয়েছেন ক্যাবরেরা। সব মিলিয়ে জাতীয় দল নিয়ে মাঠের অনুশীলনে নামার আগে পরিচয় পর্বটা বেশ ভালো ভাবেই সেরে নিচ্ছেন বাংলাদেশে নতুন এই কোচ। দেখা যাক মাঠের খেলায় শিষ্যদের নিয়ে কতোটা সফল হতে পারেন হাভিয়ের ক্যাবরেরা।