আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে এবারের মৌসুমের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ। এর আগে রোববার রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে বাফুফে সভাপতি ও অন্যান্য কর্তারাসহ ক্লাবগুলোর কোচ ও অধিনায়কদের উপস্থিতিতে বেশ ঘটা করেই আয়োজিত হয়েছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের লোগো উন্মোচন অনুষ্ঠান। লিগে ভালো করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন সব দলের দলপতিরা। এখন শুধু খেলা মাঠে গড়ানোর অপেক্ষা। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজ চলায় এবারের লিগ ঢাকার বাইরে আয়োজন করতে একপ্রকার বাধ্যই হয়েছিল ফেডারেশন। তাইতো সারাদেশের মোট সাতটি স্টেডিয়ামকে নিজেদের হোমভেন্যু হিসেবে নির্ধারণ করেছিল ক্লাবগুলো। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। দেশে করোনার পাশাপাশি নতুন ভ্যারিয়েন্ট ‘অমিক্রণ’- এ আক্রান্তের সংখ্যাও দিন দিন বেড়েই চলছে। তাইতো ঢাকা থেকে বেশি দূরের ভেন্যুগুলোতে আপাতত ম্যাচ আয়োজন করতে চায় না বাফুফে।
তাইতো সাতটি ভেন্যুতে ম্যাচ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েও মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে ভেন্যুর সংখ্যা কমাতে বাধ্য হয়েছে ফেডারেশন। সাত থেকে কমে এবারের প্রিমিয়ার লিগের ভেন্যুর সংখ্যা নেমে এসেছে চারে। আরো নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে তিনে, কেননা আর্মি স্টেডিয়াম নিয়ে এখনো আলোচনা চলমান। শেষ পর্যন্ত যদি আর্মি স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজন করতে ব্যার্থ হয় ফেডারেশন তাহলে লিগের খেলা চলবে টঙ্গীর আহসান উল্লাহ মাষ্টার স্টেডিয়াম, মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়াম ও বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়। সোমবার বাফুফে ভবনে আসন্ন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ সম্পর্কে পেশাদার লিগ কমিটির জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে বাংলাদেশ আর্মি স্টেডিয়ামে ম্যাচ আয়োজনের ব্যাপারে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ জানান, “আমরা এখনো যোগাযোগ চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু আর্মি স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ দীর্ঘসময়ের জন্য ম্যাচ আয়োজন না করে মাস দুয়েকের জন্য বাফুফেকে ব্যাবহার করার জন্য ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। আমরা তাদের কাছ থেকে খুব দ্রুত একটা লিখিত অনুমতিপত্র পেলে লিগের ফিকশ্চারে আর্মি স্টেডিয়ামকে রেখে এগোবো। কিন্তু আপাতত আমরা টঙ্গীর আহসানউল্লাহ শহীদ মাস্টার স্টেডিয়াম, মুন্সীগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়াম ও বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনাকে ভেন্যু ধরেই এগোচ্ছি”
এছাড়াও লিগ কমিটির সভা শেষে জাতীয় দলের পরবর্তী ফিফা উইন্ডোতে প্রীতি ম্যাচ সম্পর্কে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক জানিয়েছেন শ্রীলংকা, কম্বোডিয়া, মঙ্গোলিয়া, লাওস ও ইন্দোনেশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। ইন্দোনেশিয়া সফর বাতিল হওয়ার মূল কারণ ছিল ফুটবলারদের ভ্যাকসিন না নেওয়া। তাই এবার জাতীয় দলের ফুটবলারদের ভ্যাকসিনের আওতায় আনতে পদক্ষেপ নিচ্ছে বাফুফে। খুব শীগ্রই জাতীয় দলের ফুটবলারদের ভ্যাকসিন দিতে চায় ফেডারেশন। এছাড়াও মঙ্গলবার বাফুফের অধীনে থাকা ৩৮-৪০ জন নারী ফুটবলারকে করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ প্রদান করা হবে বলেও জানান বাফুফের সাধারণ সম্পাদক।