গত বছর মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত এএফসি কাপের গ্রুপ ‘ডি’- তে ভারতের ব্যাঙ্গালুরু এফসি ও এটিকে মোহনবাগানের সাথে মালদ্বীপের ক্লাব মাজিয়া স্পোর্টস ও রিক্রিয়েশন ক্লাবের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। গ্রুপ পর্বে ৩ ম্যাচে ১ জয় ও ২ ড্র তে ৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকায় আর গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরবর্তী রাউন্ডে যাওয়া হয়নি বসুন্ধরা কিংসের। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ক্ষেত্রে শেষ ম্যাচে ভারতের শক্তিশালী এটিকে মোহনবাগানের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প ছিল না অস্কার ব্রুজনের দলের সামনে। এএফসি কাপের সেই ম্যাচে অবশ্য প্রথমার্ধে ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার জোনাথন ফার্নান্দেজের গোলে এগিয়েও যায় বসুন্ধরা কিংস। কিন্তু সুশান্ত ত্রিপুরার বিতর্কিত লাল কার্ডে দ্বিতীয়ার্ধে ১০ জন নিয়ে খেলতে হয় বসুন্ধরা কিংসকে। সুযোগ কাজে লাগিয়ে মোহনবাগানের হয়ে সমতাসূচক গোলটি করেন অস্ট্রেলিয়ার ফরোয়ার্ড ডেভিড উইলিয়ামস। ফলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে পরবর্তী রাউন্ডে পৌঁছায় এটিকে মোহনবাগান।
ওই লাল কার্ডের কারণেই এএফসি কাপে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়েছেন জাতীয় দলের এই ডিফেন্ডার। পাশাপাশি তাঁকে এক হাজার ডলার জরিমানাও করা হয়েছে। বসুন্ধরা ছেড়ে এবারের মৌসুমে আবাহনী লিমিটেডে নাম লিখিয়েছেন সুশান্ত। মার্চে আবাহনীর হয়ে এএফসি কাপের প্লে–অফ ম্যাচ খেলার কথা তাঁর। এমন সময়ে নিষেধাজ্ঞা আসায় এএফসি কাপে খেলা হচ্ছে না সুশান্তর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আবাহনী ম্যানেজার সত্যজিৎ দাস রূপু, “আমরা তিন দিন আগে চিঠি পেয়েছি এএফসি থেকে। তাকে (সুশান্ত) তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং এক হাজার ডলার জরিমানাও করা হয়েছে। সাধারণত লাল কার্ডের পর এক ম্যাচ নিষিদ্ধ থাকেন একজন ফুটবলার। কিন্তু সুশান্তকে কেন তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হলো সেটা জানতে আমরা চিঠি দিয়েছি এএফসিতে।”
আবাহনীর চিঠির জবাবে এএফসি কি সিদ্ধান্ত জানায় তার ওপর ঝুলে আছে আবাহনীর হয়ে এএফসি কাপের প্লে অফে সুশান্ত ত্রিপুরার খেলা বা না খেলা। লাল কার্ড দেখলে একজন ফুটবলার সাধারণত ১ ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হন। সেক্ষেত্রে প্লে অফ ম্যাচে নিশ্চিতভাবেই সুশান্তকে পাবে না আবাহনী। কিন্তু প্লে অফ উতরে গ্রুপ পর্বে পৌঁছালে যাতে তাকে খেলানো যায় সেই চেষ্টাই করছে আবাহনী কর্তৃপক্ষ।