বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলের তৃতীয় রাউন্ডের খেলা শেষ। দুই ভেন্যু থেকে এখন ছয় ভেন্যুতে গড়াবে লিগের ম্যাচ। আগামীকাল চতুর্থ রাউন্ড থেকে ছয় ভেন্যুতে শুরু হবে লিগের খেলা। আর আগামীকালই ইতিহাসের পাতায় যুক্ত হচ্ছে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার নাম।দেশের ফুটবল ইতিহাসে প্রথম ক্লাব হিসেবে নিজের মাঠে হোম ভেন্যু হিসেবে অভিষেক হচ্ছে নবনির্মিত এই স্টেডিয়ামটির। দেশের ঐতিহ্যবাহী দলগুলোও এখনো পারেনি নিজেদের হোম ভেন্যু বানাতে। কিন্তু মাত্র কয়েক বছরের পথ চলায় কিংস অ্যারেনা বানিয়ে ইতিহাস গড়ার দ্বারপ্রান্তে বসুন্ধরা কিংস।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চতুর্থ রাউন্ডের ম্যাচে পুলিশ এফসির বিপক্ষে বসুন্ধরা কিংসের ম্যাচ দিয়ে অভিষেক হবে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার। বসুন্ধরা কিংস সভাপতি ইমরুল হাসানের মতে, “কিংস অ্যারেনা দেশের জন্য গৌরবের ব্যাপার। আমাদের এই কিংস অ্যারেনায় যে সুযোগ-সুবিধা আছে উপমহাদেশের বা এশিয়ার গুটিকয়েক ক্লাবগুলোতে রয়েছে। এটা আমাদের জন্য গৌরবের, দেশের সবার জন্যই গৌরবের ব্যাপার।”
প্রায় ৩০০শত বিঘা জমির উপর তৈরি করা হচ্ছে বসুন্ধরা ক্রীড়া কমপ্লেক্স। যেখানে ফুটবল, ক্রিকেটের পাশাপাশি ওপেন গলফ, হকি, বাস্কেটবল, ভলিবল, আর্চারি, শুটিংয়ের মতো ইভেন্টের ব্যবস্থা থাকছে। তাইতো বসুন্ধরা কিংস সভাপতি ইমরুল হাসানের মতে এই ক্রীড়া কমপ্লেক্স আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও বাংলাদেশের গর্ব করার জায়গা তৈরি করবে, “আমাদের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গর্ব করার মত বেশি কিছু নেই। বসুন্ধরা ক্রীড়া কমপ্লেক্সের মধ্যে দিয়ে কিছুটা হলেও গর্ব করার সুযোগ হল। আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলেও এই কমপ্লেক্স নিয়ে লেখালেখি হয়েছে। আমি মনে করি ক্রীড়া কমপ্লেক্স আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে তুলে ধরবে।” বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন সম্পর্কে ইমরুল হাসান বলেন, “বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার কাজ আগামী দুই থেকে চার মাসের মধ্যে শেষ হবে। ফুটবল মাঠের কাজ পূর্নাঙ্গভাবে শেষ হলে আগামী বছরেই আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করা যাবে। পরবর্তী বছরের এএফসির আসরগুলোতেও আমরা বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনাকেই হোম ভেন্যু হিসেবে নির্বাচন করে এএফসিতে আবেদন করবো।”
সব মিলিয়ে দারুন এক মাইলফলকের সামনে দাড়িয়ে বসুন্ধরা কিংস। দেখা যাক কিংসের দেখানো পথে বাকি ক্লাবগুলো এরকম ফুটবলীয় অবকাঠামো উন্নয়নে ভূমিকা রাখে কিনা। ক্লাবগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন মানেই যে দেশের ফুটবলের উন্নয়ন, অগ্রযাত্রা!