প্রিমিয়ার লীগ শুরু হতে না হতেই আলোচনায় উঠে আসলো সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। তবে তা ইতিবাচক দিক দিয়ে নয়,নেতিবাচক দিক দিয়েই আলোচনায় এলো সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের খেলোয়াড়েরা। গত ১৩ ফেব্রুয়ারী মুন্সিগঞ্জের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে শেখ রাসেলের মুখোমুখি হয় সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। ম্যাচে সাইফের খেলোয়াড় কর্তৃক এক ফাউলের মাধ্যমে আদায়কৃত পেনাল্টি থেকে গোল করে জয়ের হাসি হেসেছিল শেখ রাসেল।
সেই পেনাল্টি থেকেই ঘটনার সূত্রপাত। ম্যাচ শেষে রেফারি বিটুরাজ বড়ুয়াকে সাইফের খেলোয়াড়রা ঘিরে ধরে এবং অখেলোয়াড়সুলভ আচরণ করে। আজ বাফুফে ডিসিপ্লিনারী কমিটির এক সভায় এই প্রসঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই প্রসঙ্গে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু নাইম সোহাগ বলেন, ‘আমাদের ডিসিপ্লিনারী কমিটির একটা সভা ছিলো,যেখানে মূল আলোচ্য বিষয় ছিলো ১৩ ই ফেব্রুয়ারী শেখ রাসেল ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের মধ্যকার ম্যাচের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। ম্যাচে সাইফ স্পোর্টিংয়ের খেলোয়াড়দের সাথে অখেলোয়াড় সুলভ আচরণ করে, এটাকে ‘টিম মিসকন্টাক্ট’ বলা হয়। একাধিক খেলোয়াড় যেহেতু ‘টিম মিসকন্টাক্ট’-এর সাথে জড়িত ছিলো তাই সম্মিলিতভাবে ৫০,০০০( পঞ্চাশ হাজার) টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে। সেইসাথে ভবিষ্যতে এই সকল আচরণ সমন্ধে সতর্ক করা হয়েছে।’
এছাড়া সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের ইভেন্ট ম্যানেজার রেফারির সাথে অসন্তোষমূলক ব্যবহার করেন। রেফারির জন্যে অসন্তোষমূলক আচরণ করার জন্যে ইভেন্ট ম্যানেজারকে ২৫,০০০ (পঁচিশ হাজার) টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতে এই সকল আচরণ সম্পর্কে সর্তক করা হয়েছে।
একই ম্যাচে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া রেফারিকে লাথি মারার বিষয়টি রটে যায়। এই বিষয়টি নিয়েও আজকের সভায় আলোচনা হয়েছে। এ সম্পর্কে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক জানান ‘জামাল ভূঁইয়ার বিষয়ে তিনি যে রেফারিকে লাথি দিয়েছেন তা নিয়ে বিভিন্ন ভিডিও ও তথ্য-উপাত্ত নিয়ে আমাদের কমিটি পর্যালোচনা করেছে এবং তা প্রমাণ হয় নি। তবে বিষয় নিয়ে রিপোর্ট আসায় বাফুফের পক্ষ থেকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এটা নিয়ে ‘ফরেনসিক ইনভেস্টিগেশন’ করা হবে। সেই রিপোর্ট পরে আমরা পুনরায় ডিসিপ্লিনারী কমিটির সভা ডাকবো এবং সে মিটিং সিদ্ধান্ত জানানো হবে।’