সূচনা হলো বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলের নতুন এক দিগন্তের। তৈরি হলো নতুন এক ইতিহাস। বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলের দলগুলোর পূর্ণাঙ্গ কোনো হোম ভেন্যু না থাকলেও,এবার সে শেকল থেকে বেরিয়ে এলো প্রিমিয়ার লীগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস। নিজেদের তৈরি হোম ভেন্যু বসুন্ধরা কিংস এরেনাতেই গতকাল বাংলাদেশ পুলিশ এফসির বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বসুন্ধরা কিংস লিখলো বাংলাদেশের ফুটবলের এক ইতিহাস।

১৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে তৈরি করা বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স-এরই একটা অংশ বসুন্ধরা কিংস এরেনা। গতকাল উদ্ভোধন হয়েছে এই স্টেডিয়ামে। উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, বসুন্ধরা কিংসের প্রেসিডেন্ট ইমরুল হাসান, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীসহ বাফুফে অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

শুধুমাত্র ফুটবল নয়। বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে তৈরি হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের ক্রিকেট স্টেডিয়ামও। এই ক্রিকেট স্টেডিয়ামে থাকবে অত্যাধুনিক ফ্লাডলাইট, ইনডোর প্র‍্যাক্টিস ফেসিলিটিস-সহ এই স্টেডিয়ামের থাকবে ২০ হাজার দর্শকের ধারণ ক্ষমতা। ফুটবল ও ক্রিকেট ছাড়াও বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স-এ থাকছে হকি,বাস্কেটবল, ব্যাডমিন্টন, টেনিস, আর্চারী,শুটিংসহ আরো অন্যসব খেলার আন্তজার্তিক মানদন্ড সম্পন্ন ব্যবস্থা। এখানে গড়ে উঠছে একাডেমিও,থাকবে ৬ তলা বিশিষ্ট ডরমিটরি। এই একাডেমির কাজ চায় বিশ্বখ্যাত ফুটবল ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদের মতো জায়ান্টরা।

এই প্রসঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেন, ‘একাডেমির কাজ এখনো শেষ হয় নি। কাজ শেষ হলে শুধু বসুন্ধরা কিংস না ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, রিয়াল মাদ্রিদ আরো বিশ্বের বড় বড় ক্লাবগুলো আমদের সাথে কাজ করতে চায়। তারা ট্রেনিং করাতে চায়। আগামী এক বছরের মধ্যে একাডেমীর কাজ শেষ হবে।’

বাংলাদেশের ফুটবলের এক সোনালী অতীত ছিলো। সব খেলার সেরা ফুটবলের প্রতি ছিলো বাঙ্গালীর অন্য এক আকর্ষণ। ফুটবল ছিলো বাঙ্গালীর আবেগের জায়গা। সেই সোনালী অতীতের স্মৃতিচারণও করেছেন আহমেদ আকবর সোবহান। তিনি বলেন, ‘আমি চাই এদেশের ফুটবলটা আবার জেগে উঠুক। আগে যখন আবাহনী লিমিটেড ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের খেলা হতো আমিও লাইন ধরে টিকিট নিয়েছি। এইসময় যে ফুটবলের রেশ ছিলো ওইটা আবার আসুক।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এখন যে পর্যায়ে আছি,ওইখান থেকে এগোতে আরো অনেক সময় লাগবে। মেয়েদের একটা ভালো ভবিষ্যৎ আছে। ওদেরকে ৫-১০ বছরের মধ্যে ওয়ার্ল্ডক্লাসে নিয়ে নেওয়া যাবে। কিন্তু ফুটবলের উন্নয়নের জন্যে যদি আমরা একেবারে মাঠপর্যায় থেকে কাজ না করি, তাহলে ফুটবল নিয়ে ভালো অবস্থানে যাওয়া হবে না।

Previous articleইতিহাস রচনার ম্যাচে জয় তুলে নিলো ব্রুজন বাহিনী
Next articleপ্রতিপক্ষের মাঠে জয় পেলো ঢাকা আবাহনী;জয় পেয়েছে মোহামেডানও

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here