দেশের ফুটবলের অন্যতম মর্যাদার লড়াই আবাহনী-মোহামেডান দ্বৈরথ। তবে ঐতিহ্যবাহী ‘ঢাকা ডার্বি’ এবার অনুষ্ঠিত হয়েছে সিলেটে। সিলেট জেলা স্টেডিয়াম আবাহনীর হোম ভেন্যু হওয়ায় সেখানেই উত্তাপ ছড়িয়েছে আবাহনী-মোহামেডান লড়াই। তবে হোম ম্যাচে শেষ হাসি হেসেছে আকাশী নীলরাই।
কাগজে কলমে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও আবাহনীর বিপক্ষে সমানে সমান লড়েছে মোহামেডান। ম্যাচের ৮ম মিনিটে কোস্টারিকান ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেসের ক্রস জুয়েল রানা ভলি করেন। জুয়েলের ভলি পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। এর তিন মিনিট পর লিড নেয়ার সুযোগ পেয়েছিল মোহামেডানও। গোলের সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেছেন অধিনায়ক সুলেমান দিয়াবাতে। তবে ম্যাচে শুরুতে এগিয়ে যায় আবাহনীই। ম্যাচের ২৮তম মিনিটে পরিকল্পিত এক আক্রমণে এগিয়ে যায় আকাশী-নীল জার্সিধারিরা। ডি বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে দর্শনীয় গোল করেন সোহেল রানা। তার বুলেট গতির শটে মোহামেডানের গোলরক্ষক সুজন ছিলেন নিরব দর্শক। ৩৭তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ ছিল আবাহনীর। গোল করার মতো জায়গায় থেকেও জুয়েল বল ঠেলে দেন পোস্টের পাশ দিয়ে। ফলে ১-০ গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় আবাহনী।
বিরতি থেকে ফিরে উভয় দলই গোলের সুযোগ তৈরি করেছিল। ফরোয়ার্ডদের ফিনিশিং দক্ষতার অভাবে স্কোরলাইনে আর কোনো হেরফের ঘটেনি। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বি দুই দলের ম্যাচে মাঠে কিছুটা উত্তেজনা ছিল বেশ। ম্যাচের ২ মিনিটেই কর্নার কিককে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে মোহামেডানের ২ জন ও আবাহনীর একজনকে হলুদ কার্ড দেখান রেফারি। প্রথমার্ধেই আবাহনীর চারজন ও মোহামেডানের তিনজন ফুটবলার হলুদ কার্ড দেখেন। ফলে মৌসুমের প্রথম ‘ঢাকা ডার্বি’তে জয়ের হাসি নিয়ে মাঠ ছাড়ে আবাহনী লিমিটেড।
এর আগে দিনের আরেক ম্যাচে শেখ রাসেলকে ১-০ গোলে হারিয়েছে শেখ জামাল। মুন্সীগঞ্জের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ম্যাচে পার্থক্য গড়ে দেওয়া একমাত্র গোলটি করেছেন চিনেদু ম্যাথিউ। ৩২ মিনিটে বাঁ দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে দুই ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে দৃষ্টিনন্দন গোল করেন এই নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড।