বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলের এই মৌসুমে যেন আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠেছে রেফারিং। প্রতিটা ম্যাচেই নিত্যনতুন ঘটনার জন্ম দিচ্ছে রেফারিং। তাইতো সাধারণ দর্শকদের পাশাপাশি ক্লাবগুলোর ফুটবলার, কোচরাও আর চুপ করে থাকতে পারছেন না। নানান সময় নানান গণমাধ্যমে রেফারিং নিয়ে নিজেদের আক্ষেপের কথা প্রকাশ করেছেন ফুটবলার, কোচ ও কর্মকর্তারা।
তারই ধারাবাহিকতায় গত সপ্তাহে বাংলাদেশের একটি দৈনিক পত্রিকায় বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের কোচ আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানি বলেছিলেন, “আমি যখন জাতীয় দলের কোচ ছিলাম। তখন প্রতিটি ম্যাচ দেখেছি। রেফারিং নিয়ে তেমন অসন্তুষ্টি দেখিনি। এর কিছু সময় পর যখন আবাহনীতে কোচিং করাই তখনও রেফারিংয়ে সমস্যা দেখিনি। আবাহনীর ম্যাচ চট্টগ্রামেও খেলেছি। সঠিক রেফারিং হয়েছে। এখন দেখছি রেফারিং নিয়ে সমস্যা। আমার দলের সাথে দুটো গুরুতর বিষয় ছাড়াও মোহামেডান ও আরো কয়েকটি ক্লাবের রেফারিং নিয়ে অভিযোগ করছে। যা আগে আমি দেখিনি।”
তবে রেফারিং নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় শাস্তির মুখোমুখি হচ্ছেন এই কোচ। সোমবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটির প্রণীত কোড অব কন্ডাক্ট ভেঙেছেন মর্মে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের হেড কোচ আন্দ্রেস ক্রুসিয়ানিকে ৫০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি ভবিষ্যতে অনুরূপ কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে কঠোরভাবে সতর্ক করেছে বাফুফে।