অবশেষে ব্যর্থতার দায়ে নিজেদের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের হেড কোচ সাইফুল বারী টিটু ও ম্যানেজার ওয়াসিম ইকবাল। ভালো দল গড়েও টানা হারের ফলে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে শেখ রাসেল ক্লাব ম্যানেজমেন্ট। তবে বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, বরখাস্ত নয় দুপক্ষের সমঝোতার মাধ্যমেই দায়িত্ত্ব ছেড়েছেন সাইফুল বারী টিটু।
চলমান ফুটবল মৌসুম শুরুর আগে দলবদলের বাজারে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলো শেখ রাসেল কেসি। পূর্বে বিভিন্ন ক্লাবে ভালো খেলা বড় বড় নামদেরই দলে ভেড়ায় তারা। ঢাকা আবাহনী থেকে সাদ উদ্দিন, দীপক রায়, নাসির উদ্দিন চৌধুরীকে নিয়ে আসে। পাশাপাশি মোহামেডান থেকে হাবিবুর রহমান সোহাগ, সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব থেকে রহমত মিয়া, পুলিশ এফসি থেকে মোহাম্মদ জুয়েল, চট্টগ্রাম আবাহনী থেকে মান্নাফ রাব্বি ও মানিক মোল্লা, রহমতগঞ্জ থেকে রাসেল মাহমুদ লিটন করে দলভুক্ত করে তারা। বিদেশি ফুটবলারদের মধ্যেও মোটা অংকের বেতন দিয়েও মানসম্পন্ন বিদেশী না পাওয়ায় সাফল্য নিয়ে প্রথম থেকেই ভুগতে হয় দলটিকে।
মৌসুমের শুরুর টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপ এরপর ফেডারেশন কাপ, কোথাও ভালো করতে পারে নি ২০১২-১৩ মৌসুমের ‘ট্রেবল’ জয়ীরা। লিগেও এখন পর্যন্ত আট ম্যাচে মাত্র একটি জয়। দুটি ড্রয়ের সাথে পাঁচ হারে মাত্র ৪ পয়েন্ট নিয়ে রেলিগেশন জোনে অবস্থান দলটির। তবে খেলোয়াড়দের পারফর্ম্যান্স ছাপিয়ে সকলের কাঠগড়ায় কোচ সাইফুল বারী টিটু ও তার ডিফেন্সিভ ট্যাকটিস। তাইতো আর টিটুর ওপর আস্থা রাখতে পারেনি শেখ রাসেল ম্যানেজমেন্ট। পাশাপাশি দলের এমন বাজে পারফরম্যান্সে টিটু নিজেও আর থাকতে চাননি। ফলে দুপক্ষের সমঝোতার মাধ্যমে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের দায়িত্ত্ব ছেড়েছেন সাইফুল বারী টিটু। সেইসাথে এবারই নিয়োগ পাওয়া পেশাদার ম্যানেজার ওয়াসিম ইকবালকে ক্লাবটির চেয়ারম্যানের নির্দেশে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। টিটুর অনুপস্থিততে বর্তমানের দলের কোচের দায়িত্বে থাকবেন সহকারী জুলফিকার মাহমুদ মিন্টু। পাশাপাশি ম্যানেজার পদে এসেছেন হাবিবুর রহমান খান।