বারবার আক্রমণ করেও মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে জয় পায়নি বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে মঙ্গোলিয়া জাতীয় ফুটবল দলের বিপক্ষে একক আধিপত্য দেখালেও শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্র নিয়ে খুশি থাকতে জ্যাভিয়ার ক্যাবররারদের শিষ্যদের।
ম্যাচের ৪১ মিনিটে পেতে পেতেও গোল পায় নি বাংলাদেশ দল। সুমন রেজার ডান পায়ের শট বারপোস্টে না লাগলে হয়তো গোলের দেখা পেয়ে যেতো বাংলাদেশ দল। সোহেল রানার পাস থেকে বল পায় বক্সের ভেতরে থাকা সুমন রেজা খানিকটা সময় নিয়ে জায়গা বের করে অন-টার্গেট শট নিলে বল বারপোস্টে লেগে প্রতিহত হয়ে যায়।
প্রথমার্ধের ইঞ্জুরি টাইমের শেষ সময়ে এসে আবারো গোলের সুযোগ পায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার ফ্রি কিক থেকে হেড করেন ইয়াসিন আরাফাত। ইয়াসিন আরাফাতের হেড থেকে সুমন রেজা বুক দিয়ে বল রিসিভ করে বাম পায়ের এক জোরালো শট নেন। কিন্তু বারপোস্টের অনেক উপর দিয়ে বল চলে যায় সীমানার বাইরে। এতে করে গোলশূন্য ড্র দিয়ে প্রথমার্ধের খেলা শেষ করে দুইদল।
দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার বাড়ায় বাংলাদেশ দল। ম্যাচের ৭১ মিনিটে গোলরক্ষকের দক্ষতায় কর্ণারের বিনিময়ে বেঁচে যায় মঙ্গোলিয়া। সোহেল রানার উঁচু পাস থেকে বল পায় রিমন। রিমন থেকে রাকিব হয়ে আবারো বল আসে রিমনের কাছে। রিমন বামপ্রান্ত থেকে বক্সের ভেতরে থাকা জামাল ভূঁইয়াকে উদ্দেশ্য করে বল বাড়ায়। জামাল ভূঁইয়া বাম পায়ে ছোঁয়া দিয়ে বলকে গোল মুখে রাখলেও মঙ্গোলিয়ান গোলরক্ষক দক্ষতার সাথে ঝাঁপিয়ে পড়ে বলকে সাইড লাইনের বাইরে পাঠিয়ে দেন।
পরবর্তী মিনিটে মঙ্গোলিয়ান গোলরক্ষক এরিয়োনবোল্ড দলকে আরো একবার বাঁচিয়ে দেন। মাঝমাঠের সামনে থেকে একাই বল টেনে নিয়ে বক্সের ভেতরে ঢুকে পড়ে মোহাম্মদ ইব্রাহিম। বক্সের ভেতরে ঢুকে রাকিবকে উদ্দেশ্য করে বল দেন। কিন্তু তা রুখে দেন মঙ্গোলিয়ান গোলরক্ষক। দ্বিতীয়ার্ধের ইঞ্জুরি টাইমের প্রথম মিনিটে কাউন্টার এটাক থেকে কিছুটা আশা জাগিয়েছিলো। কিন্তু বাংলাদেশের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো নিজের জায়গা থেকে এগিয়ে এসে বলকে বল লুফে নেওয়ায় অঘটন ঘটে নি। ফলে হোমভেন্যুতে গোলশূন্য ড্র দিয়ে ম্যাচ শেষ করে জামাল ভূঁইয়ার দল।