বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে উত্তীর্ণ হওয়ার পর দেশীয় তেমন বড় নামের কোনো ফুটবলার দলে টানতে না পারলেও বিদেশি ফুটবলার সংগ্রহে প্রশংসা কুড়িয়েছিল স্বাধীনতা। দুই ইউরোপিয়ান ফুটবলার, নেদো তুরকোভিচ (বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা), রাফাল জাবরস্কি (পোল্যান্ড) এবং দুই এশিয়ান ফুটবলার সিয়ামাক কৌরসি (ইরান) ও নদির মাভলোনভ (উজবেকিস্তান) কে দলে ভেড়ায় স্বাধীনতা। কিন্তু পারিবারিক কারণ দেখিয়ে লিগের আগ মুহূর্তে বিদায় নেন ইরানিয়ান ডিফেন্ডার সিয়ামাক। বাকি তিন বিদেশি ফুটবলার চেষ্টা করেও লিগে নিজেদের দলকে ভালো অবস্থানে রাখতে পারেননি। তবে শুধুমাত্র বিদেশি ফুটবলারদের ব্যার্থতা নয়, স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘের স্থানীয় ফুটবলাররাও নিজেদের প্রমাণ করতে পারেননি। ফলস্বরূপ লিগ টেবিলের তলানিতে অবস্থান করে রেলিগেশনের শঙ্কায় নবাগত ক্লাবটি। তাইতো রেলিগেশন এড়িয়ে লিগে টিকে থাকতে বড়সর পরিবর্তনের দিকে ঝুঁকেছে ক্লাবটি। এরইমধ্যে প্রথম লেগে খেলা চার বিদেশি ফুটবলারকে ছেড়ে দিয়ে নতুন চার বিদেশি ফুটবলারকে দলে ভিড়িয়েছে স্বাধীনতা।
দুই ব্রাজিলিয়ানের সাথে এক সার্বিয়ান ও এশিয়ান কোটায় আরো একজন জাপানি ফুটবলারকে নিয়ে রেলিগেশন এড়ানোর চ্যালেঞ্জে দ্বিতীয় লেগে মাঠে নামবে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ। দ্বিতীয় লেগের জন্য স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘে যোগ দেওয়া দুই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারের মধ্যে মিডফিল্ডার রেইনাল্দো ভিয়ানাকে ব্রাজিলের চতুর্থ স্তরের লিগে খেলা আলাগোইনহাস ক্লাব থেকে উড়িয়ে আনছে স্বাধীনতা। এছাড়া স্বাধীনতায় যোগ দেওয়া আরেক ব্রাজিলিয়ান ওয়ালেস লিমা। ২৬ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ডকে ব্রাজিলের পারা নামক প্রদেশের ক্লাব ইনডেপেনডেন্ট থেকে দলে টেনেছে নবাগত ক্লাবটি।
স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘে যোগ দেওয়া সার্বিয়ান ডিফেন্ডার ইভান ম্যারিচ খেলেছিলেন সার্বিয়ার অনূর্ধ্ব-১৭ দলে। ২৭ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডারকে ভিয়েতনামের ক্লাব দা নাং এফসি থেকে দলে নিয়েছে স্বাধীনতা। নিজ দেশ সার্বিয়া ছাড়াও মন্টেনেগ্রো ও বাহরাইনের শীর্ষ স্তরের লিগে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে এই ডিফেন্ডারের।
এছাড়া স্বাধীনতায় যোগ দেওয়া জাপানি ফুটবলার ইউতা সুজুকি সবশেষ খেলেছিলেন মালয়েশিয়ার ক্লাব কুচিং সিটিতে। মালয়েশিয়া ছাড়াও জাপান, লাওস ও চেক প্রজাতন্ত্রে খেলা এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারকে এশিয়ান কোটায় দলে নিয়েছে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ। এছাড়াও মৌসুমের শুরুতে স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘে যোগ দেওয়া ইতালি প্রবাসী বিশাল দাস ইনজুরি কাটিয়ে মাঠে ফিরবেন দ্বিতীয় লেগ থেকে। দেখা নতুন বিদেশিদের নিয়ে নিজেদের রেলিগেশন এড়ানোর মিশনে কতোটা সফল হতে পারে নবাগত স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ।