এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী বাহরাইনের কাছে ২-০ গোলে হেরে আসর শুরু করা বাংলাদেশ দলকে নিয়ে পরদিনই আবার অনুশীলনে নেমে পড়েছেন স্প্যানিশ কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরা। বাহরাইন ম্যাচে সম্পূর্ণ নজর রক্ষণে থাকলেও এবার সেটা থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছে বাংলাদেশ। তাইতো অনুশীলনে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে রক্ষণ সামলে কিভাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে প্রতিপক্ষের রক্ষণকে চ্যালেঞ্জ জানানো যায়। বৃহস্পতিবার কুয়ালালাপুরের পিকেএনস গ্রাউন্ডে বাংলাদেশ দলের অনুশীলনে অধিকাংশ সময় ধরে কাউন্টার অ্যাটাক নিয়েই কাজ করেছেন কোচিং স্টাফের সদস্যরা।
কাউন্টার অ্যাটাকের পাশাপাশি সেট পিসেও নজর বাংলাদেশের। বাহরাইন ম্যাচের পর দলের প্রথম অনুশীলন শেষে বাংলাদেশের সহকারী কোচ হাসান আল মামুন বলেন, “আমরা জানি আমাদের থেকে প্রতিপক্ষরা কতটা শক্তিশালী এবং কোন পর্যায়ের দল। তাই এই দিকটাতেই আমরা মনোযোগ দিচ্ছি যে, আমরা সবসময় লো ব্লকে থেকে খেলব এবং খেলার আরও উন্নতি করব। শুধু নিচে নেমে রক্ষণ সামলানোই নয়, আমরা চাচ্ছি দ্রুত প্রতিআক্রমণে উঠতে, যেটা আপনারা বাহরাইনের বিপক্ষে ম্যাচে দেখেছেন। আমরা চাই, অনেক খেলোয়াড় আক্রমণে অংশগ্রহণ করুক।”
বাহরাইনের বিপক্ষে হারলেও দলের ডিফেন্ডারদের পারফরমেন্সে সন্তুষ্ট ছিলেন হেড কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরা। তবে লেফট ব্যাক ইয়াসিন আরাফাত বলেছেন উন্নতির আরো জায়গা রয়েছে, রক্ষণ নিয়ে আরো অনেক কাজ করতে হবে। বাফুফের পাঠানো ভিডিও বার্তায় ইয়াসিন বলেন, “পরের ম্যাচের জন্য আমরা তৈরি হচ্ছি। একজন ডিফেন্ডার হিসেবে বলব, বাহরাইনের বিপক্ষে আমাদের প্রত্যাশা আরও বেশি ছিল। পরের ম্যাচে আরও ভালো করার সুযোগ আমাদের আছে। গত ম্যাচে আমরা সেট-পিসে গোল হজম করেছি, এছাড়া রক্ষণে জমাট ছিলাম। সব মিলিয়ে দল কমপ্যাক্ট ছিল, কিন্তু সেট পিসে গোল খেয়েছি, কী করার আছে!”
আগামী ১১ জুন নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ মধ্য এশিয়ার দেশ তুর্কমেনিস্তান।