এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী বাহরাইনের কাছে ২-০ গোলে হেরে আসর শুরু করা বাংলাদেশের সামনে এবার মধ্য এশিয়ার দেশ তুর্কমেনিস্তান। আগামীকাল অর্থাৎ ১১ জুন মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালামপুরের বুকিত জালিল স্টেডিয়ামে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে ৫৪ ধাপ এগিয়ে তুর্কমেনিস্তান। প্রায় তবে প্রথম ম্যাচে ১০০ ধাপ এগিয়ে থাকা বাহরাইনের কাছে হারলেও বাংলাদেশে প্রাপ্তি অনেক। প্রথম প্রাপ্তি অবশ্যই নিজেদের ওপর বিশ্বাস তৈরি করে যে হারের আগে হার নয়। মনোবল দৃঢ় রেখে কোচের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলে ভালো কিছু হতেও পারে। যেমন ১ জুন ইন্দোনেশিয়ার সঙ্গে প্রীতি ম্যাচে বাংলাদেশ গোলশূন্য ড্র করতে পেরেছে। বাহরাইনের মতো দলের সঙ্গে আর যাই হোক অহসায় আত্মসমর্পণ করেনি। তাইতো র্যাঙ্কিংয়ে পিছিয়ে থাকা ম্যাচে প্রভাব পড়বে না বলে বিশ্বাস বাংলাদেশের। নিজেদের পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে পারলে ভালো কিছু করা সম্ভব বলেও আশাবাদী লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
বাহরাইনের বিপক্ষে ‘লো ব্লক’ ট্যাকটিক্সে খেলা বাংলাদেশের তুর্কমেনিস্তান ম্যাচে কী একটু ওপরে ওঠে খেলার পরিকল্পনা আছে? সংবাদ সম্মেলনে এই প্রশ্নের উত্তরটা দিলেন দলের হেড কোচ। ক্যাবরেরা বলেন, “অবশ্যই, আমরা ইতিবাচক ফুটবল খেলতে চাই। বল পজেশন রাখতে চাই। যাতে আমরা ভালো একটা ফল যেতে পারি।” এর সাথে বাংলাদেশ কোচ আরো যোগ করেন, “বাহরাইনের সঙ্গে আমরা খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক ম্যাচ খেলেছি। তারপর আমরা খেলোয়াড়দের ধকল কাটিয়ে ওঠানোর চেষ্টা করেছি। টেকনিক্যাল স্টাফের সঙ্গে বসে কথা বলেছি। সবকিছু বিশ্লেষণ করেছি। অবশ্যই আমাদের কিছু উন্নতির সুযোগ আছে। তবে কালকের চ্যালেঞ্জের জন্য আমরা তৈরি।”
বাহরাইন ম্যাচ থেকে পাওয়া আত্মবিশ্বাস কি তুর্কমেনিস্তান ম্যাচে বাংলাদেশের ভালো খেলার টনিক হিসেবে কাজ করবে? এই প্রশ্নটা গেলো অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়ার দিকে। জবাবে ‘জেবি-সিক্স’-এর জবাব, “নতুন কোচ এসেছেন। তিনি আমাদের রক্ষণ কাঠামোয় কিছু বদল এনেছেন। আমরা অনেক উন্নতি করেছি। প্রতিদিন আমরা ভিডিও দেখি। টিম মিটিং করি। এটা চালিয়ে গেলে আশা করি ভালো ফল আসবে।”
তুর্কমেনিস্তানের ফুটবলারা শারীরিকভাবে অনেকটা বাহরাইনের ফুটবলারদের মতো হওয়ায় সেট পিসে বাড়তি নজর বাংলাদেশের। গতকাল সহকারী কোচ হাসান আল মামুনের পর সংবাদ সম্মেলনে জামাল ভুঁইয়াও জানালেন বাংলাদেশ সেটপিস নিয়ে বাড়তি কাজ করেছে। তার সাথে নিজেদের ওপর বিশ্বাস রেখে তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে ইতিবাচক ফুটবল খেলে জয়ে চোখ জামালের, “আমি বিশ্বাস করি আমরা জিততে পারব। তবে জয়ের ইচ্ছা, সাহস আর আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। তাহলে আমাদের ভালো সুযোগ অছে বলব।”
তবে জয় পাওয়াটা এতটাও সহজ হবে না হাভিয়ের ক্যাবরেরার শিষ্যদের জন্য। কেননা জয় পেতে হলে অবশ্যই গোল করতে হবে, আর হাভিয়ের ক্যাবরেরা যুগে এখনো সেই গোলটাই করতে পারেনি বাংলাদেশ! তাইতো তুর্কমেনিস্তান ম্যাচে ভালো খেলে জয়ে চোখ দিতে হলে অবশ্যই প্রতিপক্ষের জালে কে বল পাঠাবেন, সেই উত্তরটাও খুব দ্রুতই খুঁজতে হবে।