আগামীকাল ‘এএফসি এশিয়ান কাপ চায়না-২০২৩‘ এর কোয়ালিফায়ার্স রাউন্ডের গ্রুপের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক মালেশিয়া জাতীয় ফুটবল দলের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। গ্রুপের অন্য দুই ম্যাচে বাহরাইনের বিপক্ষে সুবিধা করতে না পারলেও তুর্কমেনিস্তানের বেশ ভালো লড়াই লড়েছে জামাল ভূঁইয়ারা। জয় না পেলে কারাকোম যোদ্ধাদের ঘাম ছুটিয়ে ছেড়েছে বাংলার বাঘের দল।
গ্রুপে বাংলাদেশ বাদে তিনদলই জয় পেয়েছে। দুই জয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে বাহরাইন। এছাড়া মালেশিয়া ও তুর্কমেনিস্তানের রয়েছে ৩ পয়েন্ট। মূল পর্বে খেলতে জয় পেতে হবে বাংলাদেশের। জয়ের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় রাখাকে গুরুত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ জ্যাভিয়ার ক্যাবররা। প্রতিপক্ষ মালেশিয়াকে বেশ সমীহের চোখেই দেখছেন বাংলাদেশ দলের এই স্প্যানিশ কোচ।
এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময়ই জিততে চাই। সব সময়ই এটা আমাদের লক্ষ্য। কিন্তু জিততে হলে খেলায় আমাদের ধারাবাহিক হতে হবে। প্রতিটা জায়গাতেই ধারাবাহিক হতে হবে। মালয়েশিয়া তাদের সর্বস্ব দিয়ে লড়বে। শুরুর সেকেন্ড থেকেই তারা আমাদের ওপর ঝাঁপাবে। শুরুর ১০ মিনিটেই তারা ম্যাচটা শেষ করে দিতে চাইবে। আমাদের গোল করতে হবে, মনোযোগ ধরে রাখতে হবে, তাদের ঠেকিয়ে রেখে তাদের ভুলের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।’
আগামীকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পেলে মূলপর্বের দরজা খুলে যেতে পারে মালেশিয়ার জন্যে। অন্যদিকে কোনো পয়েন্ট না পাওয়া আগামী ম্যাচে সেরকম কোনো পিছুটান নেই বাংলাদেশের। স্বাগতিক হওয়ায় এবং জয় তাগাদা থাকায় বাংলাদেশ কোচ হাভিয়ের কাবরেরা মনে করছেন সব চাপ মালয়েশিয়ার ওপর।
ক্যাবররা বলেন, ‘আমাদের ওপর কোনো চাপ নেই। সব চাপ মালয়েশিয়ার ওপর। তারা তাদের ঘরের মাঠে খেলবে, র্যাঙ্কিংয়েও এগিয়ে, এশিয়ান কাপে খেলার সুযোগ তাদের সামনে। আবারও বলছি আমাদের সামনে দারুণ সুযোগ আমাদের জন্য এটাই সঠিক সময় দেখানোর যে আমরা যে কারও বিপক্ষে লড়তে পারি। আমরা ইতিবাচক মানসিকতা নিয়ে লড়তে চাই তবে একটা জিনিস বলতে চাই আমাদের সত্যি ভালো একটা ফল প্রাপ্য। আমাদের সমর্থকদের ভালো একটা ফল উপহার দিতে চাই। ভালো একটা ফল নিয়ে দেশে ফিরতে চাই, দেশকে কিছু একটা উপহার দিতে চাই। আমরা আমাদের সুযোগের ওপর ভরসা রাখতে চাই। কাল আমরা আমাদের সেরাটাই উপহার দেব।’
তিনি আরো বলেন, ‘স্বাগতিক দলের বিপক্ষে ম্যাচ, কঠিন একটা চ্যালেঞ্জ। আমাদের জন্য ৭০ হাজার দর্শকের সামনে খেলতে পারাটা শুধু অতিরিক্ত অনুপ্রেরণাই নয়, অনেক ফুটবলারের জন্য এটা স্বপ্নের মতো। এতো দর্শকের সামনে, এমন একটা পরিবেশ, এমন একটা দলের বিপক্ষে খেলা যারা বড় কিছুর প্রত্যাশায় লড়ছে। আমাদের জন্য এটাই সঠিক সময় দেখানোর যে আমরা যে কারও বিপক্ষে লড়তে পারি। ইন্দোনেশিয়াসহ শেষ তিন ম্যাচে আমরা যে পারফরম্যান্স করেছি সেটা ধরে রাখতে হবে।’