বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের গত আসরে স্পট ফিক্সিংয়ে জড়িয়েছিলো আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ। এবার আরামবাগের সেই গত হয়ে যাওয়া প্রতিচ্ছবি ধরে রেখেছে উত্তর বারিধারা ক্লাব। এছাড়া এবারের ফুটবল মৌসুমে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের দল কাওরানবাজার প্রগতি সংঘও জড়িয়েছে পাতানো ম্যাচের জালে। পাতানো ম্যাচের সন্দেহের কারণে এর আগে বাফুফের পাতানো ম্যাচ শনাক্তকরণ কমিটির চক্ষুগোচর হয় উত্তর বারিধারা ক্লাব ও কাওরান বাজার প্রগতি সংঘ। পরবর্তীতে পাতানো ম্যাচ শনাক্তকরণ কমিটির রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটির শাস্তির আওতায় পড়ে এই দুই দল। বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উক্ত দুই দলকে দুই স্তর অবনমিত করা হয়েছে। উত্তর বারিধারা ক্লাবকে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবল থেকে দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লিগে এবং কাওরান বাজার প্রগতি সংঘকে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ থেকে তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লিগে অবনমিত করেছে বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি।
কিন্তু এবারের মৌসুমে ফিক্সিং ইস্যুতে প্রথম যে ক্লাবটির নাম সামনে আসে সেটা হল আজমপুর এফসি। বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে রানার্স আপ হয়ে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার কথা থাকলেও ফিক্সিং ইস্যুতে সন্দেহের তালিকায় থাকায় রানার্স আপ হিসেবে তাদের নাম ঘোষণা করেনি বাফুফে। বিসিএল চলাকালীন ফিক্সিংয়ের অভিযোগ তুলে পদত্যাগ করেন ক্লাবটির কোচ সাইফুর রহমান মনি। গণমাধ্যমের রিপোর্টগুলোতেও আজমপুর নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছে। অথচ বাফুফের পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটি আজমপুরের উপর আনীত পাতানো ম্যাচ কিংবা স্পট ফিক্সিং অভিযোগের কোনো সত্যতা খুঁজে পায়নি। ফলে ‘বেকসুর খালাস’ পেয়ে গেছে সন্দেহ তালিকার শীর্ষে থাকা আজমপুর এফসি! আর ডিসিপ্লিনারি কমিটির এমন সিদ্ধান্তে বিস্মিত দলটির সাবেক কোচ সাইফুর রহমান মনি, ‘সব কিছু সরাসরি বলার পরও বাফুফে তদন্ত কমিটি যদি এর সত্যতা বের করতে না পারে, তাহলে আর কী বলার আছে!’
বিভিন্ন মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ ছিল আজমপুরের দিকেই। সেই আজিমপুর অনেকটা নিষ্কলুষ হওয়ায় ফুটবলাঙ্গনে বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে। আজমপুর প্রসঙ্গে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ বলেন, ‘পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে ডিসিপ্লিনারি কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাতানো খেলা শনাক্তকরণ কমিটির রিপোর্টে তাদের (আজমপুর এফসি) বিষয়ে কিছু না থাকায় ডিসিপ্লিনারি কমিটি কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।’
ডিসিপ্লিনারি কমিটির সিদ্ধান্তে আজমপুর এফসির নাম আসায় তাদের আর বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলতে বাধা থাকার কথা নয়। বাফুফে অবশ্য জানিয়ে রেখেছে যে পরবর্তী সময়ে কোনো অভিযোগের প্রমাণ হাতে পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।