দীর্ঘ ১৪ বছর পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করা আব্দুস সালাম মুর্শেদী যে আর দায়িত্বে থাকছেন না সেটা নিশ্চিত হয়েছিল আগেই। ব্যাবসায়িক ও রাজনৈতিক ব্যাস্ততায় ঠিকমতো সময় দিতে না পারায় দায়িত্ত্ব ছেড়েছেন তিনি। গুঞ্জন ছিল গুরুত্বপূর্ন এই দায়িত্বটা কাঁধে তুলে নেবেন স্বয়ং বাফুফে সভাপতি নিজেই। অবশেষে হয়েছেও তাই। বুধবার অনুষ্ঠিত বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভায় কাজী সালাউদ্দিন নিজেই নিয়েছেন পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব। আর দায়িত্ত্ব নিয়েই দিলেন পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত। পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়ে কী পরিবর্তন আনবেন কাজী সালাউদ্দিন? বুধবার দায়িত্ব পাওয়ার পর এ নিয়ে বিস্তারিত প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত না করলেও বলেছেন, ‘আমি লিগ কমিটির কাঠামোয় পরিবর্তন আনবো। কমিটি হবে দ্বি-স্তর বিশিষ্ট।’
লিগ কমিটির শীর্ষ স্তর হবে প্ল্যানিং কমিটি নামে। যে কমিটি হবে ৫ সদস্যের। আর এই কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন কাজী সালাউদ্দিন। এই কমিটিতে অন্য চারজন ধাকবেন বাফুফের চার সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ, ইমরুল হাসান, মহিউদ্দিন আহমেদ মহি ও আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক। দ্বিতীয় কমিটির নাম হবে কার্যকর কমিটি। যে কমিটিতে থাকবেন ক্লাব প্রতিনিধি, প্ল্যানিং কমিটির দুইজন এবং বাইরে থেকে আরো একজন। খুব শীগ্রই আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন করে এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানিয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন।
বুধবার অনুষ্ঠিত বাফুফের নির্বাহী সভায় এসেছে আরো কয়েকটা গুরুত্বপূর্ন সিদ্ধান্ত। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের অন্যতম স্ট্যান্ডিং কমিটি ঢাকা মহানগর ফুটবল লিগ কমিটি। গঠনতন্ত্র অনুসারে সেই কমিটির নাম বদলে হচ্ছে ঢাকা মেট্রোপুলিশ ফুটবল কমিটি। দীর্ঘদিন এই কমিটির আলাদা ব্যাংক হিসাব থাকলেও ফিফার গাইডলাইনের জন্য সেই হিসাব বন্ধ হয়ে এখন বাফুফের কেন্দ্রীয় হিসাবে সেই লেনদেন হবে। হিসাব বন্ধ হলেও কমিটির চেয়ারম্যান তার কমিটি সংক্রান্ত বিষয়ে স্বাক্ষর করতে পারবেন। এছাড়া আগামী মৌসুমে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে বিদেশি ফুটবলারের কোটা ৪ জন থেকে বাড়িয়ে ৫ জন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এক ম্যাচের স্কোয়াডে থাকতে পারবে আগের মত ৪ জনই। সেইসাথে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ থেকে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব নাম প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এবার একটি দল কম নিয়েই অর্থাৎ ১১টি দল নিয়ে হবে লিগ।