এক সাফের শিরোপা জয় করে পুরো দেশকে আনন্দের উপলক্ষ এনে দিয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। তবে শিরোপা জয়ের পর একের পর এক সংবর্ধনা ও পুরস্কার প্রাপ্তির মাঝেও ফুটে ওঠে দেশের ফুটবলের দীর্ঘ শিরোপা খরা কাটানো সাবিনা-কৃষ্ণারা ছিলেন কতোটা অবহেলিত। দেশে নারীদের লিগ অনিয়মিত থাকায় তারা নিয়মিত ম্যাচ খেলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিলেন। অবশ্য এবার পরিবর্তন এসেছে অনেক কিছুতেই। গত বছর ৭ দল নিয়ে হয়েছে নারী ফুটবল লিগ। এবারের লিগে আগের চেয়ে দল বেড়েছে। আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া নারীদের ফুটবল লিগে এবার অংশ নেবে ১২টি দল। ডাবল লেগ পদ্ধতিতে দলগুলো একে অন্যের মুখোমুখি হবে। প্রতিটি দলের ২২টি করে ম্যাচ থাকবে, এবং পুরো লিগে মোট ম্যাচের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াবে ১৩২টিতে! আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে দলবদল।
তবে মাঠ সংকটে পুরো নারী লিগের জন্য একমাত্র কমলাপুরের বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়ামকেই রেখেছে বাফুফের উইমেন্স উইং। মাঠের অভাবে খেলা ছড়িয়ে দিতে না পারলেও এই মাঠেই জমজমাট নারী লিগের প্রত্যাশা করছেন বাফুফের উইমেন্স উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ। শনিবার বাফুফে ভবনে উইমেন্স উইংয়ের চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ সভা শেষে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, “মাঠের সমস্যা রয়েছে আমাদের। তাই কমলাপুরের মাঠই এখন বড় ভরসা। আগের চেয়ে দল বেড়েছে। আশা করছি এবার আরও জমজমাট লিগ হবে।”
এছাড়া আগামী মৌসুমে নারীদের পুরোদস্তুর পেশাদার লিগ আয়োজন করতে চায় বাফুফের উইমেন্স উইং। এবারের নারী লিগে বিদেশি ফুটবলার অন্তর্ভুক্তির সুযোগ না থাকলেও আগামী মৌসুম থেকে সেটা রাখতে চান কিরণ। সেক্ষেত্রে লিগে আরো প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়বে বলে মনে করেন বাফুফের উইমেন্স উইংয়ের চেয়ারম্যান, “আমরা পরের বছরই পেশাদার লিগ করতে চাইছি। তখন বিদেশি খেলোয়াড়ও থাকবে। আরও ভালো দল আসবে। প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়বে। তবে এবারও আগের চেয়ে ভালো হবে লিগ।”
একনজরে এবারের নারী ফুটবল লিগে অংশগ্রহণকারী ক্লাবসমূহঃ বসুন্ধরা কিংস, আতাউর রহমান ভূঁইয়া কলেজ স্পোর্টিং ক্লাব, এফসি ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা ইউনাইটেড ক্লাব, কাচারীপাড়া একাদশ উন্নয়ন সংস্থা, সদ্যপুষ্করণী যুব স্পোর্টিং ক্লাব, বরিশাল ফুটবল একাডেমি, ঢাকা রেঞ্জার্স ফুটবল ক্লাব, ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাব, সিরাজ স্মৃতি সংসদ, নাসরিন ফুটবল একাডেমি ও উত্তরা ফুটবল ক্লাব লিমিটেড।