আগামী নভেম্বরের মধ্যবর্তী সময় থেকে শুরু বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলের নতুন মৌসুম। গতবারের মতো এবারেও স্বাধীনতা কাপ দিয়েই শুরু হবে নতুন মৌসুমের সূচনা। ইতিমধ্যেই দিনক্ষণও নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ১৩ ই নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে টুর্ণামেন্ট চলবে আগামী ৫ ই ডিসেম্বর পর্যন্ত।
বাফুফের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত স্বাধীনতা কাপের রয়েছে দুইটি পর্ব- বাছাইপর্ব ও মূলপর্ব। মূলপর্বের খেলা ১৩ ই নভেম্বর থেকে শুরু হলেও বাছাইপর্ব শুরু হবে ৩ রা নভেম্বর থেকে। চলবে ৭ ই নভেম্বর পর্যন্ত। বাছাইপর্বে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশীপ লীগ (বিসিএল)-র ১২ টি দলের পাশাপাশি অংশ নিবে ৩ টি সার্ভিসেস দল। বাছাইপর্ব থেকে ৪ টি দল মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে। বাছাইপর্বের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে কুমিল্লার ভাষা সৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত স্টেডিয়ামে।
বাছাইপর্বের পরবর্তীতে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল)-র ১২ দলের সাথে বাছাইপর্ব পার করে আসা ৪ দলের সমন্বয়ে মোট ১৬ টি দল নিয়ে শুরু হবে মূলপর্বের খেলা। মূলপর্বের ১৬ টি দলকে ৪ টি গ্রুপে ভাগ করা হবে। ৪ টি গ্রুপ থেকে প্রতি গ্রুপের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা দুইদল কোয়ার্টার ফাইনালে উত্তীর্ণ হবে। তারপর সেমিফাইনাল ও ফাইনাল আয়োজিত হবে। লীগ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী স্বাধীনতা কাপের নতুন আসর তিনটি ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে। নির্ধারিত ভেন্যুগুলো হচ্ছে- কুমিল্লার ভাষা সৈনিক শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত স্টেডিয়াম, মুন্সিগঞ্জের শহীদ বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়াম এবং গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মণি স্টেডিয়াম। গ্রুপ পর্বের ম্যাচগুলো নির্ধারিত উক্ত তিন ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হলেও সেমিফাইনাল ও ফাইনাল নির্দিষ্ট ভেন্যুতে আয়োজিত হবে।
ভেন্যু নিয়ে এবারে বেশ সোচ্চার ভূমিকা পালন করছে বাফুফের । ভেন্যু পরিদর্শন কমিটি কুমিল্লা ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত স্টেডিয়াম ও গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মণি স্টেডিয়াম পরিদর্শন সম্পন্ন করেছে। ভেন্যুর সামগ্রিক ভালোভাবে খতিয়ে দেখছে পরিদর্শন কমিটির সদস্যগণ। তবে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচের ভেন্যু এখনো নির্ধারণ হয় নি। টুর্ণামেন্টে যেহেতু ব্রডকাস্টিং কোম্পানির মাধ্যমে টেলিভিশনের সম্প্রচারিত হবে, তাই ব্রডকাস্টিং কোম্পানির সাথে আলাপ-আলোচনার করে, তাদের সুবিধা অনুযায়ী এবং দর্শক সমাগমের কথা বিবেচনা করে লীগ পরিচালনা কমিটি সেমিফাইনাল ও ফাইনালের ভেন্যু নির্ধারণ করবে।