স্বাধীনতা কাপ শুরুর চতুর্থ দিনে এসে মাঠে নামার সুযোগ পেয়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব-বাফুফে এলিট একাডেমি এবং বাংলাদেশ পুলিশ এফসি-রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি। ১৬ দলের আসরে ডি গ্রুপে থাকায় সবার শেষে মাঠে নামার সুযোগ হয় এই চার দলের। তবে দিনশেষে হাসি মুখে মাঠ ছাড়া দুই দলের নাম শেখ জামাল ও বাংলাদেশ পুলিশ এফসি। মুন্সিগঞ্জে রহমতগঞ্জকে ৪-১ গোলের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে পুলিশ এফসি; অপর ম্যাচে কুমিল্লায় বাফুফে এলিট একাডেমির বিপক্ষে ৩-০ গোলের সহজ জয় তুলে নিয়ে মাঠ ছেড়েছে শেখ জামাল।
মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই রহমতগঞ্জের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে থাকে পুলিশ। ফলাফল আসতেও বেশি সময় লাগেনি। ম্যাচের ৪র্থ মিনিটেই ডিফেন্ডার জয়ন্ত কুমার রায়ের গোলে এগিয়ে যায় ক্লাবটি। এরপর ১০ম এবং ১৬তম মিনিটে জোড়া গোল করে পুলিশ এফসিকে ৩-০ গোলে এগিয়ে নেন ফরোয়ার্ড এম.এস বাবলু। বিরতির পর ৮৪তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ব্যবধান কমান রহমতগঞ্জের মিডফিল্ডার মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ। তবে এর মিনিট চারেক পর লেফট ব্যাক ঈসা ফয়সালের গোলে ৪-১ গোলের বড় জয় নিশ্চিত করে ফেলে বাংলাদেশ পুলিশ এফসি।
ডি গ্রুপের অপর ম্যাচে কুমিল্লার ভাষা সৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে বাফুফে এলিট একাডেমির বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। সেইসাথে হ্যাটট্রিক করে শেখ জামালের জার্সিতে নিজের যাত্রা শুরু করেছেন সেন্ট ভিনসেন্ট জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট। বাফুফে এলিট একাডেমির বিপক্ষে ম্যাচের প্রথমার্ধে ২১তম মিনিটে প্রথম এবং ২৮তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে ২-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় শেখ জামাল। বিরতির পর ৬৬তম মিনিটে নিজের হ্যাটট্রিক পূরণের সঙ্গে দলের ৩-০ গোলের জয়ও নিশ্চিত করেন কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট।