বসুন্ধরা ট্রফি ক্যাবিনেটে যোগ হলো আরো একটি শিরোপা। স্বাধীনতা কাপের ফাইনালে কুমিল্লার ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আনিসুর রহমান জিকোর নৈপুণ্যে শেখ রাসেল কে হারায় বসুন্ধরা কিংস।
ম্যাচের একেবারে প্রথম মিনিটে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের ডিফেন্ডার ইয়াসিন খানের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে নিজেই একাই রান মেইক করে বলকে জালের স্পর্শ পাইয়ে দেয় ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার মিগেল ফিগুইরা। ম্যাচের ১২ মনির আলমের ক্রস থেকে হেডে গোল করে শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে ম্যাচের ফিরিয়ে আনে নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড এম্ফোন উদো।
৩০ মিনিটে ডি-বক্সের ভেতরে কিংসের সাদউদ্দিন শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের এম্ফোন উদোকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় শেখ রাসেল। পেনাল্টি থেকে স্পট কিকে আইভোরিয়ান ফরোয়ার্ড চার্লস দিদিয়ার গোল ম্যাচে লিড পায় শেখ রাসেল। ম্যাচের ৪৪ মিনিটে প্রতিপক্ষের বক্সের ভেতরে শেখ রাসেলের ইয়াসিন খানের ফাউলের শিকার হয় বসুন্ধরার ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার মিগেল ফিগুইরা। ফলে রেফারি ফাউলের সিদ্ধান্ত জানায়। আদায় করা সেই পেনাল্টি গোল করে ম্যাচে সমতা ফিরিয়ে আনে বসুন্ধরা কিংসের অধিনায়ক রবসন রবিনহো। ফলে ২-২ গোলে শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধেও মুহু মুহু আক্রমণ চলছিলো। আক্রমণ এবং প্রতিআক্রমণে ম্যাচের সময় গড়াচ্ছিলো। কিন্তু রেগুলেশন টাইমে কোনো দলই প্রতিপক্ষের বাধা ভাঙ্গতে না পারায় ২-২ গোলে শেষ হয় নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা। এতে করে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। কিন্তু অতিরিক্ত সময়েও ম্যাচ ড্র থাকালে ম্যাচ এগিয়ে যায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারে প্রথম শটে বসুন্ধরা কিংসের রবসন রবিনহো গোল করতে পারলে শেখ রাসেলের সোহেল রানার শট ঠেকিয়ে দেয় বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো। দ্বিতীয় শটে কিংসের ডরিয়েল্টন গোমেজ এবং শেখ রাসেলের হেমন্ত ভিনসেন্ট বিশ্বাস দুইজনই গোল পান। তবে তৃতীয় টাইব্রেকার শটে আবারো চমক দেখায় আনিসুর রহমান জিকো। কিংসের রেজা খানজাদেহ সেই শটে সফল হলেও রাসেলের খালেকুজ্জামানের শট ফিরিয়ে দেন জিকো। এরপর চতুর্থ শটে জিকো শেখ রাসেলের গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানাকে পরাস্ত করলে টাইব্রেকারে ৪-১ জয় পায় বসুন্ধরা কিংস। ফলে দ্বিতীয়বারের মতো স্বাধীনতা কাপের শিরোপা ঘরে তুলে অস্কার ব্রুজনের শিষ্যরা।