‘বাফুফে’; পুরো নাম বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। যেখানে ফুটবল থেকে রঙের মেলাটাই বেশী চলে। প্রায় প্রতিদিনই চলে ক্ষমতা আসনে বসে থাকা রাঘব বোয়ালদের হরেক রঙের কথা মালা। আকস্মিকতার খেলা এখানে রোজ চলে। ঘটনার আকস্মিকতায় উঠে আসে নতুন নতুন ইস্যু।
আজ সোমবারের সকালটা প্রতিদিনকার মতো ছিলো। পূর্ব দিকে সূর্য উঠেছে, পৃথিবীর সবাই যে যার কাজে ব্যস্ত। সকাল শেষে দুপুর এলো, দুপুরের সাথে সাথেই এলো বাফুফের নতুন বার্তা। হঠাৎ করে সভা ডাকলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। সভার বিষয়বস্তু সাম্প্রতিক বিষয়।
সাম্প্রতিক বিষয় নিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়া বাফুফের এই সভায় আলোচনা মূল কেন্দ্রবিন্দু ফিফা ও বাফুফের আর্থিক বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমের করা রিপোর্ট। গত ৩১ শে ডিসেম্বর বাংলাদেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেলের রিপোর্টে দেখানো হয় আর্থিক অনিয়মের দায়ে বাফুফেকে নোটিশ দিয়েছে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফা। তবে সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়টি পুরোপুরি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘ফিফা থেকে বাফুফে কোনো চিঠি পায়নি। এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
ফিফা অর্থিক অনিয়মে চিঠি বাফুফেকে উদ্দেশ্য করে দেয় নি। ফিফার উদ্দেশ্যের বস্তু বাফুফের তিনজন কর্মকর্তা। তাদেরকে উদ্দেশ্য করে এই নোটিশ দিয়েছিলো ফিফা। এই প্রসঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীরা বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, ‘ফিফার সঙ্গে আমি যোগাযোগ করেছি। তারা এই বিষয়ে আমাকে কিছু বলেনি।’
প্রায়ই বাফুফের এইরকম আর্থিক অনিয়মের বিষয় খবরের শিরোনাম হয়। এইজন্য প্রায় দুইবছর আগে ফিফা কর্তৃক কন্সাল্টেন্ট নিয়োগ দেয়া হয়েছিলো। এই প্রসঙ্গে কাজী সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমরা যেভাবে অ্যাকাউন্টস মেইনটেন করতাম সেটার সঙ্গে ফিফার সামঞ্জস্য করতেই কনসালটেন্ট নিয়োগ দেয় ফিফা।’
আর্থিক অনিয়মের দায়ে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ও দুই অর্থ কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ফিফা বলে দাবি গণমাধ্যমের। বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ, প্রধান অর্থ কর্মকর্তা আবু হোসেন ও অর্থ সহকারী অনুপম সরকারকে দেয়া হয়েছে এই নোটিশ। এছাড়া এর আগেও কোচ জেমি ডে কে বরখাস্ত করায় বাফুফেকে ফিফার জরিমানার মুখোমুখি হতে হয়েছিলো।