বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের ১৮ জন খেলোয়াড়ের সাথে বাফুফের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের এক মতবিনিময় আজ বাফুফে ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় খেলোয়াড়রা সভাপতিকে পরবর্তী লীগ যথা সময়ে শুরু করার আহ্বান জানান।
খেলোয়াড়রা আগামী ফুটবল মৌসুম যথাসময়ে শুরুসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোকপাত করেন এবং পরিত্যক্ত হওয়া বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ২০১৯-২০ এর ক্লাবের নিকট হতে খেলোয়াড়দের চুক্তির অবশিষ্ট অর্থ প্রাপ্তির বিষয়ে যথাযথ উদ্দ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ জানান। অনেক ক্লাবই ইতিমধ্যে খেলোয়াড়দের সাথে সমঝোতার মাধ্যমে চুক্তি শেষ করেছেন। তবে যাদের অর্থ প্রাপ্তি এখন সম্পন্ন হয়নি তারা দ্রুত এর সমাধান আশা করছেন। এছাড়া বিসিএল, প্রথম বিভাগ, দ্বিতীয় বিভাগ, তৃতীয় বিভাগ ফুটবলও মাঠে গড়ানোর আহ্বান করেছেন তারা।
আগামী ৮ অক্টোবর বিশ্বকাপ ও এশিয়া কাপ বাছাইয়ের ম্যাচে পুণরায় মাঠে নামবে বাংলাদেশ।স্বাস্থ্যবিধি মেনে আগস্ট এর প্রথম সপ্তাহ হতেই ফুটবলারদের আবাসিক ক্যাম্প শুরুর কথা আগেই জানানো হয়েছে। বাফুফে বস কাজী সালাহউদ্দিন ফুটবলারদের প্রস্তুত থাকতে বলেছেন এবং খেলোয়াড়দের শারীরিক ফিটনেস ধরে রাখার জন্য বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করেছেন।এছাড়াও খেলোয়াড়দের পারিবারিক বিষয়ে খোজখবর নেন এবং নিজেকে সুস্থ্য রাখার স্বার্থে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার দিকনির্দেশনা দেন তিনি।
মতবিনিময় শেষে গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘ প্রেসিডেন্টের কাছে আমরা অনুরোধ করেছি পরিস্থিতি একটু স্বাভাবিক হলে যেন লিগগুলো শুরু করা হয়। আর একটা বিষয় হচ্ছে ৪ মাস ধরে আমরা যারা ফুটবলার আছি তারা বেকার হয়ে পড়েছি কারণ পেশাদার যে লিগ ছিল তা বাতিল হয়ে গেছে। আমরা যারা চূক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় আছি তারা হয়ত ক্লাবের কাছ থেকে কিছু টাকা পাচ্ছি কিন্তু অন্যরা যারা আছে ফুটবল খেলে তারা অনেক আর্থিক সমস্যায় আছে। চুক্তিবদ্ধ ফুটবলার ছাড়া অন্যান্য স্তরের যেসকল ফুটবলাররা আছে তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা খুবই খারাপ। তারা তাদের পরিবারও চালাতে পারছে না। তাই আর্থিক এই সংকটের কথা আমরা প্রেসিডেন্টকে জানিয়েছি।‘
ফুটবলারদের আর্থিক বিষয়টি বিবেচনা করার জন্য বলেছেন মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘প্রায় ৪ মাস আমরা ফুটবলের বাইরে। অর্থনৈতিক দিক দিয়ে আমরা সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। আমরা যারা চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় তারাও ধরেন কিছুদিন চালিয়ে যেতে পারবে কিন্তু অন্যরা বেশিদিন চালিয়ে যেতে পারবে না। তো সবার কথা চিন্তা করে আমরা কথা বলতে চাই। যেহেতু লিগ বন্ধ হয়ে গেছে। তাই দুই-তিন মাসের ভেতর যদি লিগটা শুরু করা যায় তাহলে আমাদের সকল ফুটবলারদের আর্থিক দিকটা ঠিক হয়ে যাবে। কারণ আমরা ফুটবলাররা কিন্তু অন্য কিছুই করি না। এ ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট সাহেব জানিয়েছেন তিনি ক্লাবগুলোর সঙ্গে কথা বলবেন।’