জাতীয় দলের সাবেক ব্রিটিশ কোচ জেমি ডের বাফুফের কাছে ৮৬ হাজার ডলার পাওনা রয়েছেন। জেমি ডের সঙ্গে বাফুফের দ্বিতীয় মেয়াদে দুই বছরের চুক্তি ছিল। তাকে মেয়াদের আগে চাকরিচ্যুত করলেও তার পাওনা পরিশোধ করেনি। পরে জেমি ফিফার কাছে অভিযোগ করেন। ফিফা থেকে জেমির পাওনা পরিশোধের জন্য সময় বেঁধে দেওয়া হয় ২০২২ সালের ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু বাফুফে সময়মতো সেই টাকা শোধ করেনি।
এমনকি বিষয়টা নিয়ে আপিলও করেনি। কিন্তু হলে কী হবে, সময়মতো বিদেশি কোচদের টাকা পরিশোধ না করার অভ্যাস বজায় রেখেছে বাফুফে। আর এর নেতিবাচক দিক হিসেবে ফিফার আর্থিক নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশ পড়তে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন জেমি। আর সেটিই খবর হয়েছে বাংলাদেশের গণমাধ্যমে। একটি গণমাধ্যমে খবর হয়, বাংলাদেশের আর্থিক উন্নয়ন বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছে ফিফা।
তবে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এই খবরকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছে। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাফুফে থেকে জানানো হয় জেমি ডের বেতন-ভাতা বাফুফে কর্তৃক পরিশোধ করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তার অপরিশোধিত বেতন ভাতা পরিষদের জন্য ইতিমধ্যেই যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সাথে বাফুফের কাজ চলমান রয়েছে। বাফুফে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি সাপেক্ষে খুবই দ্রুত উক্ত টাকা পরিষদ করবে।
এছাড়াও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে ফিফা কর্তৃক প্রেরিত সকল ফান্ড তারা পেয়ে যাচ্ছে। এমনকি চলতি মাস অর্থাৎ জানুয়ারি মাসেরও সকল ফিফা ফান্ড আমরা গ্রহণ করা হয়েছে।