২০০৯ সালে দেশের ফুটবলের নবজাগরণের উদ্দেশ্যে বাফুফের আয়োজনে যাত্রা শুরু করেছিল কোটি টাকার সুপার কাপ। পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব নিয়ে এ বছর সুপার কাপ আয়োজনের আশ্বাস আগেই দিয়েছিলেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন; অবশেষে সেটা আলোর মুখ দেখার পথে।
সোমবার বাফুফে সাধারণ সম্পাদক জানালেন মোটামুটি একটি কাঠামো দাঁড় করিয়ে ফেলেছেন তারা। সুপার কাপের বিষয়ে আবু নাঈম সোহাগ বলেছেন, “ছয় দল নিয়ে সুপার কাপ হবে এপ্রিলে। ২ এপ্রিল শুরু হয়ে শেষ হবে ১৩ তারিখে-এটা চূড়ান্ত পর্ব। তিনটি করে দল দুই গ্রুপে খেলবে, প্রতি গ্রুপ থেকে সেরা দুটি করে দল সেমি-ফাইনাল খেলবে এবং এরপর ফাইনাল। এই ছয়টি দল নির্বাচনের জন্য আমাদের বাছাই প্রক্রিয়া আছে। (গত মৌসুমের) লিগ টেবিলের সেরা চারটি দল সরাসরি মূল পর্বে খেলবে। এ মাসের ১৪ ও ২৮ তারিখে গত বছরের লিগ টেবিলের বাকি ৭টি দলের মধ্যে বাছাই পর্ব হবে, সেখান থেকে ২টি দল পাবে মূল পর্বের টিকেট।”
গত মৌসুমের লিগে শীর্ষ চার দল বসুন্ধরা কিংস, ঢাকা আবাহনী লিমিটেড, শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাবের সরাসরি খেলার কথা ছিল। কিন্তু সাইফের সিনিয়র দল ফুটবল থেকে সাময়িক বিরতি নেওয়ায় পঞ্চম স্থানে থাকা মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব সরাসরি খেলবে। তবে ভেন্যুর বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত করতে পারেনি বাফুফে। বরাবরের মতোই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে আয়োজনের ভাবনা ছিল, কিন্তু সংস্কার কাজ চলায় তা হচ্ছে না। সোহাগ জানালেন, এবারের মূল পর্ব ঢাকার বাইরে এক ভেন্যুতে হবে। “ভেন্যু নিয়ে কাজ করছি। আশা করছি, আমাদের পেশাদার লিগ কমিটির মিটিংয়ে খুব শিঘ্রই সুপার কাপের ভেন্যু কি হবে, সেটা চূড়ান্ত হবে। যদিও বছরের শুরুতে কমিটির একটা ফিডব্যাক ছিল, সুপার কাপ আমরা ঢাকায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে করতে পারি কিনা। কিন্তু অবস্থাদৃষ্টে বোঝা যাচ্ছে বঙ্গবন্ধুতে সুপার কাপ হওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।”
এবারের আসরের প্রাইজমানি ও দলগুলোর অংশগ্রহন ফি বাড়তে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন সোহাগ, “এটা নিয়ে বোর্ড মিটিংয়েও আলোচনা হয়েছে। আমাদের পক্ষ থেকে বলেছি, প্রাইজমানি ও পার্টিসিপেশন ফি যেন আরও বেশি আশাব্যাঞ্জক হয় এবং বাফুফের পক্ষ থেকে যেন টুর্নামেন্ট আরও কালারফুল করা হয়, এগুলো নিয়ে আমরা পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করব।”