ঘরের মাঠে প্রথম ম্যাচেই জয় তুলে নিলো বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। তারিক কাজীর করা একমাত্র গোলে সিশেলসের বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় পেয়েছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
সিলেট স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকে বেশ আক্রমণাত্মকভাবে খেলা শুরু করে বাংলাদেশ। ম্যাচের ৩ মিনিটে আমিনুর রহমান সজীবকে লক্ষ্য করে বাড়ানো ডানপ্রান্ত থেকে সাদউদ্দীনে বাঁকানো ক্রসের গোল সম্ভাবনা তৈরি করে। কিন্তু সজীব বলের দেখা পাওয়ার আগে সিশেলসের ডিফেন্ডার ওয়ারেন এরিক সেটিকে গোললাইনের বাইরে বের করে দেন।
ম্যাচের ৭ মিনিটে টানা দুইটি কর্ণার পায় বাংলাদেশ। কিন্তু সোহেল রানার সেই কর্ণার কিক বক্সে প্রবেশের আগেই সিশেলসের ডিফেন্ডার হেড করে ক্লিয়ার করে দেন। ৩৪ মিনিটে বাংলাদেশের কাছে আবারো গোলের সুযোগ আসে। কিন্তু জামাল ভূঁইয়ার ক্রস থেকে করা তপু বর্মনের হেড সিশেলস গোলরক্ষক আলভিন রোডি মিচেল তার বিশ্বস্ত দুই হাত দিয়ে বলকে লুফে নিয়ে দলকে রক্ষা করেন।
৪২ মিনিটে অবশেষে অধরা সেই গোলের দেখা পেয়ে যায় বাংলাদেশ। বক্সের বাইরে থেকে জামাল ভূঁইয়ার ফ্রি কিক হেডে ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন ব্রেন্ডন মোলে। কিন্তু বল হেড করলেও ক্লিয়ার করতে ব্যর্থ হন তিনি। আর এই ব্যর্থতার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সুন্দর একটা হেড করে বলকে জালে পাঠিয়ে দেন তারিক কাজী। বাংলাদেশের জার্সিতে এটিই তার প্রথম গোল। তারিকের গোলকে সম্বল করে বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বাংলাদেশের ফুটবল বোদ্ধাদের অনেকদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটে। বহু সমস্যাকে পাশ কাটিয়ে বদলি হিসেবে মাঠে নামেন এলিটা কিংসলে। ম্যাচের ৬২ মিনিটে অভিষেক ম্যাচেই এলিটা কিংসলের কাছে গোলের সুযোগ চলে আসে। মতিন মিয়ার থ্রু পাস থেকে গোলরক্ষকের সাথে ওয়ান টু ওয়ান পরিস্থিতিতে ছিলেন এলিটা। কিন্তু এলিটার গোলমুখে শট গোলবারের উপর দিয়ে চলে গেলে বাংলাদেশের জার্সিতে ইতিহাস তৈরি করতে পারেন নি এলিটা।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে গোল ক্ষুধায় অনেকটা ভয়ংকর হয়ে উঠে সিশেলসের খেলোয়াড়েরা। ম্যাচের শেষের দিকে ম্যাচে সমতা প্রায় নিয়ে এসেছিলো সিশেলস। ৮৭ মিনিটে সিশেলসের ডিফেন্ডার ডন ম্যাক্সিমের করা জোরালো ফ্রি কিক শট বারে হিট না করলে হয়তো সমতায় ফিরতে পারতো সিশেলস। কিন্তু তা আর হয়ে উঠে নি। পরবর্তী সময়ে আর গোল না হলে ১-০ গোলের জয় দিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।