আগামী ২১ জুন ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৩। দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্বকাপ খ্যাত এই টুর্নামেন্টে এবার অংশ নিচ্ছে ৮ দেশ। এই অঞ্চলের ৬ দেশের সঙ্গে আমন্ত্রিত হিসেবে লেবানন ও কুয়েত অংশ নিচ্ছে এবারের সাফে। তাই পূর্বের তুলনায় এবারের সাফে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জের মাত্রাটা বেড়ে গিয়েছে কয়েকগুণ। সাফের বি গ্রুপে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষ হিসেবে পেয়েছে লেবানন, মালদ্বীপ এবং ভুটানকে।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে তিন দলই বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে। এছাড়া বেশ লম্বা সময় ধরে সাফে সাফল্য নেই বাংলাদেশের। ২০০৩ সালে সবশেষ শিরোপা জয় এবং ২০০৯ সালে সবশেষ সেমি ফাইনালে খেলা বাংলাদেশের জন্য তাই সাফ হয়ে আছে এক আক্ষেপের নাম। তারপরও এবারের সাফে বাংলাদেশের সেমি ফাইনালে খেলার সুযোগ দেখেন বাফুফে সহ-সভাপতি ও ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ।
আজ (রোববার) বাফুফে ভবনে ন্যাশনাল টিমস কমিটির সভা শেষে কাজী নাবিল এবারের সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে আশাবাদী কণ্ঠে বলেছেন, ‘সাফে খেলছি, ধরে নিতে হবে সব দলই শক্তিশালী। সাফে দুটো দল বাইরে থেকে আমন্ত্রণের ভিত্তিতে খেলছে- লেবানন ও কুয়েত। সবাই জানি দুটি দলই র্যাঙ্কিংয়ে আমাদের চেয়ে এগিয়ে। গ্রুপে লেবানন, মালদ্বীপ ও ভুটান রয়েছে। শুরুতে লেবানন প্রতিপক্ষ, এরপর মালদ্বীপ ও ভুটানের বিপক্ষে ম্যাচ হবে। কঠিন প্রতিপক্ষ দিয়ে শুরু করছি আমরা। প্রতিটি ম্যাচ গুরুত্বপূর্ণ। দুটো ম্যাচ ভালো খেলতে পারলে আমাদের সুযোগ রয়েছে সেমিফাইনালে যাওয়ার।’
ন্যাশনাল টিমস কমিটির আজকের সভায় চূড়ান্ত হয়েছে আসছে সাফে বাংলাদেশের কোচিং স্টাফের সদস্যদের তালিকা। হেড কোচ হাভিয়ের ক্যাবরেরার সঙ্গে আলোচনা করে সবশেষ ফিফা উইন্ডোতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করা সহকারী কোচ ডেভিড গোমেজ গঞ্জালেস ও গোলকিপিং কোচ হলেন মিগুয়েল অ্যাঞ্জেল অ্যানিডোকে সাফের জন্য রেখে দিয়েছে বাফুফে। তাদের সাথে নতুন ফিজিও হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ডেভিড ডোবারা মেগান। অর্থাৎ বাংলাদেশের কোচিং স্টাফ এখন অল স্প্যানিশ। এছাড়া ম্যানেজার হিসেবে আমের খান এবং টিম লিডার হিসেবে শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর সাফ পর্যন্ত দলের সঙ্গে থাকবেন। সাফের প্রস্তুতি শুরু হতে যাচ্ছে ৪ জুন। ঢাকায় অনুশীলন করে ১০ জুন কম্বোডিয়ার উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বে জামাল ভুঁইয়ারা। সেখানে স্বাগতিকদের বিপক্ষে ১৫ জুন প্রীতি ম্যাচ খেলে ১৬ জুন সরাসরি ব্যাঙ্গালুরুতে চলে যাবে দল।