মাস দুয়েক আগে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন জানিয়েছিলেন, কাজের পরিবেশ নেই বলে টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি আর থাকতে চান না। এরপর থেকেই তাকে রাখার জন্য নানান চেষ্টা করেছে বাফুফে। এ নিয়ে একাধিক বৈঠক হলেও গতকাল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন স্মলি। এরপর আজ (১৫ জুলাই) তিনি নিজেই আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন।
দেশের ফুটবল কাঠামোর প্রতি অসন্তোষ জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর পল স্মলি। রোববার (১৬ জুলাই) ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত অস্ট্রেলিয়ান এই টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের। আগামী বছরের আগস্ট পর্যন্ত বাফুফের সঙ্গে চুক্তি ছিল পল স্মলির। কিন্তু এক বছর আগেই দায়িত্ব ছাড়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন,
“আমি গত প্রায় দেড় মাস যাবত সভাপতির (কাজী সালাউদ্দিন) সঙ্গে আলোচনা করছিলাম কিছু বিষয় পরিবর্তনের জন্য। তিনি আমার পয়েন্টগুলো যৌক্তিক বললেও এটি স্থায়ীভাবে করতে সময় চেয়েছিলেন। সেই বিষয়গুলো পরিবর্তন না হওয়ায় আমি চলে যাচ্ছি।”
এর সাথে তিনি আরো যোগ করেন,
“আমি কখনোই বর্তমান চুক্তির চেয়ে অতিরিক্ত অর্থ দাবি করিনি। কাজের পরিবেশ ও ব্যাপকতা নিয়েই আলোচনা হয়েছে গত দেড় মাস। বাফুফের বিভাগগুলো পূর্ণগঠন করা প্রয়োজন। বিশেষ করে আমার টেকনিক্যাল বিভাগে আরও বিশেষজ্ঞ লোক দরকার। সেখানে মাত্র দুইজন এক্সিকিউটিভ। ফিন্যান্স বিভাগও জোরদার করা প্রয়োজন।”
এছাড়াও বাফুফের টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের দায়িত্ব ছাড়ার পেছনে আরো একটি বড় কারণ হিসেবে পল স্মলি বলেছেন,
“দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে ফিফা ৫০ পাতার একটি বিশাল রিপোর্ট দিয়েছে। সেই রিপোর্টে কারা কারা যুক্ত সবই বর্ণনা রয়েছে। ফিফা যে প্রতিষ্ঠানে অনিয়ম-অসঙ্গতি পেয়েছে, সেই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আমি থাকতে পারি না। ফিফার রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, কোনো চারজন জড়িত। বাফুফে তাদের বিপক্ষে এখনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি।”
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের টেকনিক্যাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক ডিরেক্টর হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন পল স্মলি। এরপর ২০১৯ সালে দায়িত্ত্ব ছেড়ে যান তিনি। তবে কাজী সালাউদ্দিন পুনরায় বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হলে ২০২০ সালে পুনরায় টেকনিক্যাল ডিরেক্টরের দায়িত্ব নেন পল স্মলি।