ঘরোয়া ফুটবল বন্ধ হওয়ার পর ফুটবলারদের সাথে দুই দফা বসেছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন। ঘরোয়া ফুটবলের ভবিষ্যৎ, খেলোয়াড়দের পাওয়া অর্থ নিয়ে প্রথম দফায় আলোচনার পর দ্বিতীয় দফায় বাফুফে সভাপতি ফুটবল মাঠে নামানোর আগে খেলোয়াড়রা কিভাবে তাদের ফিটনেস ধরে রাখতে পারবে, তা নিয়েই বেশি আলোচনা করেছেন। আজও আলোচনা গুলো এক রকম হতে পারে, কিন্তু আজ লিখিত আকারে নিজেদের সব সমস্যা তুলে ধরবেন ফুটবলাররা এমনটা জানা গিয়েছে।
আজ আলোচনায় উপস্থিত থাকতে পারে জাতীয় দল ও ক্লাব মিলিয়ে প্রায় ৩০ জন ফুটবলার থাকবেন। তাদের সাথে আলোচনায় থাকবেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন সহ ন্যাশনাল টিমস কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফে সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ এবং অন্য সহ-সভাপতি ও ন্যাশনাল টিমস কমিটির ডেপুটি চেয়ারম্যান তাবিথ আউয়াল।
করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে আসছে না বলে খেলাধুলা শুরুর নির্ধারিত সময়ও নির্ধারণ করতে পারছে না যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। গত পরশু ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি ঘরোয়া খেলাধুলার সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সবুজ সংকেত পাওয়ার উপর নির্ভর এমনটা বলেছেন। তাই ফুটবলাররা চিন্তিত তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে। জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা তাও অনেকটা ভালো আছেন, কিন্তু নিচের সারির লীগের ফুটবলারদের অবস্থা করুণ। প্রিমিয়ার লিগের ছাড়াও অন্য সব লিগের খেলোয়াড়দের কথাও ভাবছেন প্রথমসারির ফুটবলাররা।
এছাড়াও বিশ্বকাপ বাছাইকে সামনে রেখে আগস্টেই শুরু হবে জাতীয় দলের ক্যাম্প। প্রথমে ৪০ জন ফুটবলারকে ডাকা হবে ক্যাম্পে এবং তাদের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করে ৩৫ সদস্যের প্রাথমিক দল নিয়ে অনুশীলন শুরু হবে । এক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে খেলোয়াড়দের জন্য আইসোলেশন সেন্টার খুঁজে বের করা। ঘরের মাঠে তিন ম্যাচের জন্য ফুটবলারদের আইসোলেশন সেন্টার হিসেবে চারটি ভেন্যু কথা ভাবছে বাফুফে। ফারস হোটেল, বিকেএসপি, বাফুফের ডরমেটরি ও গাজীপুরের সারাহ রিসোর্ট। অনুশীলন ভেন্যু চূড়ান্ত করতে না পারলেও শেষ পর্যন্ত বিকেএসপি ফুটবলারদের আইসোলেশন সেন্টার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে জানা গিয়েছে। এইসব বিষয়েও আজ আলোচনা হতে পারে।