কিছুদিন আগে বিপিএলে বিদেশী খেলোয়াড়ের কোটা কমানোর ব্যাপারে বেশ গুঞ্জন তৈরী হয়েছিলো। খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির দাবি নাকচ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন।
গতকাল ২৫ শে জুলাই মঙ্গলবার খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির ব্যানারে সাবেক কয়েকজন খেলোয়াড় বিদেশী খেলোয়াড়ের কোটা কমানোকে প্রধান দাবি হিসেবে রেখে আরো কয়েকটি দাবিকে সংযুক্ত করে বাফুফে সভাপতির কাছে তাদের স্মারকলিপি পেশ করেন। কিন্তু তাদের এই দাবি নাকচ করে দেন বাফুফে সভাপতি। প্রেসিডেন্টের সাথে উক্ত সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন ফুটবল খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. ইকবাল হোসেন। এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন ইমতিয়াজ আহমেদ নকীব, গোলাম গাউস, শহিদ হোসেন হোসেন, বিপ্লব ভট্টাচার্য্য, জাহিদ হাসান এমিলি ও মো. হোসেন সহ আরো ফুটবলাররা উপস্থিত ছিলেন।
খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির মূল দাবি ছিলো বিদেশীদের কোটা কমানো। তাদের দাবি অনুযায়ী একটি দল সর্বোচ্চ ৪ জন বিদেশীকে দলের হয়ে রেজিষ্ট্রেশন করাতে পারবে এবং সর্বোচ্চ ৩ জন বিদেশী মাঠে খেলতে পারবে। তবে তাদের এই দাবি আমলে নেয় নি ফেডারেশন।
গত মৌসুমে রুলস অনুযায়ী একটি দল ৫ জন বিদেশী নিয়ে দল সাজানোর সুযোগ পেয়েছে, পাশাপাশি এগারো জনের মূল দল জায়গা পেতো মোট ৪ জন বিদেশী। এশিয়ান ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর এএফসি চ্যাম্পিয়ন্সশীপ লীগে বিদেশ খেলোয়াড়ের পরিসরটি আরো বৃহৎ। এসিএলে প্রতি দল মূল একাদশে ৬ জন করে বিদেশী ফুটবলার খেলানোর সুযোগ। তাই আগামী সিজন থেকে এসিএলের প্রস্তুতি হিসেবে ঘরোয়া লীগেও সে নীতি মেনে চলার জন্য পরিবর্তন আনার কথা ভাবছে বাফুফে।
বিদেশি খেলোয়াড়দের কোটা হ্রাসের পাশাপাশি খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির আরেকটি দাবি বাফুফের পেশ করেছিলো। তাদের সেই দাবিটি ছিলো বাফুফের সাধারণ পরিষদে তাদের কাউন্সিলরশিপ প্রদান। তাদের এই দাবিটি বাফুফের পরবর্তী সাধারণ সভায় উত্থাপন করবেন বলে আশ্বাসও দিয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন।