ফুটবলার তৈরির বড় স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু করে বাফুফে এলিট একাডেমি। ২০২১ সালে শুরু হওয়া বাফুফের এলিট একাডেমিতে এখন পর্যন্ত ৬৩ জন ফুটবলার রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই ক্লাবগুলোর ফুটবলার তৈরির কথা থাকলেও বাংলাদেশের ফুটবল সংস্কৃতি অনেকটাই আলাদা। তাই বাধ্য হয়ে বাফুফেকেই নিতে হয়েছে এই উদ্যোগ। এই বাফুফে এলিট একাডেমির ফুটবলাররা নিয়মিত খেলছেন বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক দলগুলোতে। প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা অর্জনের লক্ষ্যে গত মৌসুমে এই দলটাকে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে খেলার সুযোগ করে দেওয়া হয়। এবার সেই ফুটবলাররা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে খেলার অপেক্ষায়। শিরোপার জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করলেও বাংলাদেশের ক্লাবগুলোর খেলোয়াড় তৈরিতে মনোযোগ নেই। তাই বাফুফে এলিট একাডেমি থেকে ফুটবলার চেয়েছে তিনটি ক্লাব। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে বাফুফের ডেভলপমেন্ট কমিটি একাডেমির ফুটবলারদের উন্মুক্ত নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত বছর এলিট একাডেমির ফুটবলারকে দশ লাখ টাকা দিয়ে নিয়েছিল মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এবার মোহামেডানের পাশাপাশি চিঠি দিয়েছে শেখ রাসেলও। এই দুই ক্লাবের দেখাদেখি ব্রাদার্স ইউনিয়ন চেয়েছিল এলিটের ফুটবলারদের দিয়েই দল গড়তে। তারা ১০-১২ জন ফুটবলারের জন্য ফুটবল ফেডারেশনকে একটি নির্দিষ্ট অঙ্কও প্রস্তাব দিয়েছিল। তাইতো এলিট একাডেমির ফুটবলারদের উন্মুক্ত নিলামে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাফুফে। আজ (শুক্রবার) ছুটির দিনেও বাফুফে ভবনে বিশেষ সভা করে ডেভেলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফের অন্যতম সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক বলেন, ‘আমাদের কাছে শেখ রাসেল, মোহামেডান ও ব্রাদার্স ইউনিয়ন খেলোয়াড় চেয়ে চিঠি দিয়েছে এবং নিজেদের মতো একটি বিনিময়মূল্যও উল্লেখ করেছে তারা। আমরা খেলোয়াড়দের উন্মুক্ত বিডিংয়ে উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যারা সর্বোচ্চ মূল্য দেবে তারাই খেলোয়াড় পাবে।’
বাফুফে এলিট একাডেমির ফুটবলারদের পেতে তিন ক্লাব চিঠি দিলেও আসন্ন বিডিং অন্য সকল ক্লাবের জন্যও উন্মুক্ত থাকছে। এ বিষয়ে আতাউর রহমান ভুঁইয়া মানিক বলেন, ‘তিন ক্লাব আনুষ্ঠানিক চিঠি দিলেও বাকি ক্লাবগুলো আগ্রহী থাকলে বিডিংয়ের দিন অংশগ্রহণ করতে পারে। নিলামটি খুব শীঘ্রই অনুষ্ঠিত হবে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে।’
এলিট একাডেমির সঙ্গে খেলোয়াড়দের ২০২৫ সাল পর্যন্ত চুক্তি। একাডেমির ফুটবলারদের পেছনে বাফুফের বিনিয়োগ রয়েছে। নিলামে ক্লাব থেকে প্রাপ্ত অর্থ ফেডারেশন এবং খেলোয়াড় কে কত শতাংশ পাবে, আবার বাফুফে একাডেমির কয়েকজন খেলোয়াড় বিকেএসপির শিক্ষার্থীও; এ সকল ইস্যুতে সবার স্বার্থে একটি গাইডলাইন তৈরি করবে ডেভলপমেন্ট কমিটি। এছাড়া নিলাম প্রক্রিয়ায় খেলোয়াড়দের প্রাথমিক মূল্য নির্ধারিত থাকে। নিলামের ঘোষণা দিলেও এই বিষয়টি এখনও ফেডারেশন চূড়ান্ত করেনি বলে উল্লেখ করেন মানিক, ‘বেস প্রাইস (ভিত্তিমূল্য) ও আরো কিছু বিষয় নিয়ে আমরা কয়েক দিন কাজ করব। এরপর একটি নির্দিষ্ট দিনে নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।’