এএফসি কাপে সফলতম বাংলাদেশী ক্লাব ঐতিহ্যবাহী ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। ২০১৯ সালে এএফসি কাপের ইন্টার জোনাল সেমি ফাইনালে খেলে সবার নজর কাড়ে আকাশী-নীল জার্সিধারীরা। কিন্তু এরপর বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবলে বসুন্ধরা কিংসের একচ্ছত্র আধিপত্যের কারণে অনেকটাই মিইয়ে যায় ধানমন্ডির জায়ান্টরা। তবে এবারের এএফসি কাপের প্রিলিমিনারী রাউন্ড পেরিয়ে গ্রুপ পর্বে খেলতে বদ্ধ পরিকর আবাহনী। সে লক্ষ্যে তারা দলে ভিড়িয়েছে নতুন দুই ব্রাজিলিয়ান ফুটবলারকে। আসছে এএফসি কাপে আবাহনীর জার্সিতে মাঠে নামবেন ব্রুনো মাতোস ও জনাথন রেইস।
৩৩ বছর বয়সী মিডফিল্ডার ব্রুনো মাতোস সবশেষ খেলেছেন সৌদি আরবের সেকেন্ড টায়ারের ক্লাব আল জিল এফসিতে। মূলত একজন অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হলেও দুই উইংয়ে সমানভাবে খেলতে পারদর্শী তিনি। এর আগে ইরান, সার্বিয়া, ভিয়েতনাম ও ইন্দোনেশিয়ার টপ টায়ারে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। এএফসি কাপেও ৬ ম্যাচে করেছেন ৭ গোল। অভিজ্ঞতা রয়েছে ২ টি এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ খেলারও। তাইতো নিঃসন্দেহে বেশ হাই প্রোফাইল একজন ফুটবলারই সাইন করালো ঢাকা আবাহনী লিমিটেড।
এদিকে মাতোসের সঙ্গে তারই স্বদেশী জনাথন রেইসকে সাইন করিয়েছে আবাহনী। ৩৪ বছর বয়সী রেইস মূলত একজন রাইট উইঙ্গার হলেও খেলতে পারেন সেন্টার ফরোয়ার্ড পজিশনে। এর আগে ব্রাজিলের সেকেন্ড টায়ার, থাইল্যান্ডের টপ টায়ার ও সেকেন্ড টায়ার, দক্ষিণ কোরিয়ার টপ টায়ার ও সাইপ্রাসের টপ টায়ারে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। এদের সঙ্গে এর আগে আবাহনীতে খেলে যাওয়া ইরানিয়ান ডিফেন্ডার মিলাদ শেখ সোলেইমানি আবারো ফিরতে পারেন আবাহনীর ডেরায়।
এছাড়া গত মৌসুমে খেলা ইউসুফ মোহাম্মদ এবং এমেকা উগবুগকে রেখে দিয়েছে আবাহনী। তাদের সঙ্গে এএফসি কাপের জন্য ধারে আবাহনীতে এসেছেন মোহামেডানের মুজাফফর মুজাফফারভ, পুলিশ এফসির দানিলো কুইপাপা, চট্টগ্রাম আবাহনীর ইফিয়াগু ডেভিড ও মোস্তফা কাহরাবা। এছাড়া এএফসি কাপ তো বটেই আগামী মৌসুমের জন্য কর্নেলিয়াস স্টুয়ার্ট ও এমফন উদোহকে দলে ভিড়িয়েছে তারা। সব মিলিয়ে এএফসির টুর্নামেন্টে ৬ বিদেশি খেলানো ও আনলিমিটেড রেজিস্ট্রেশনের নিয়মকে কাজে লাগিয়ে গ্রুপ পর্বে খেলতে মরিয়া আকাশী নীল জার্সিধারীরা।