গত ১ লা আগষ্ট থেকে বাংলাদেশের ঘরোয়া লীগের দলবদল শুরু হয়েছে। আসন্ন মৌসুমকে সামনে রেখে বিপিএলের টিমগুলো দল গোছানোর কর্মযজ্ঞ শুরু করেছে। শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রও তার ব্যতিক্রম নয়।
বাংলাদেশের ঘরোয়া ফুটবল লীগকে বিবেচনায় আনলে সবার আগে বিদেশী খেলোয়াড়দের কথা মাথায় আসে। কারণ বিদেশী খেলোয়াড়রাই ঘরোয়া লীগের দলগুলোর তুরুপের তাস হয়ে উঠে। যে দলের বিদেশী শক্তি যত বেশী তেজস্বী, সে দলের ভালো করার সুযোগ তত বেশী। এই মতাদর্শকে মাথায় রেখে বিদেশী শিবির স্বনির্ভর করতে ব্যস্ত শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র।
শেখ রাসেল ক্রীড়া গত মৌসুমের সকল বিদেশীদের ছেড়ে দিয়ে নতুন বিদেশী খেলোয়াড়দের নিয়ে দল সাজাতে চলেছে। শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র পরবর্তী মৌসুমের জন্যে জাপানিজ মিডফিল্ডার কোডাই লিডকে দলে ভিড়িয়েছে। কোডাই লিডা এর আগে ইন্দোনেশিয়া এবং কানাডার সর্বোচ্চ পেশাদার লীগের ক্লাবের হয়ে খেলেছে। এছাড়া লিডার আমেরিকান এবং অস্ট্রেলিয়ান পেশাদার লীগেও খেলার অভিজ্ঞতাও রয়েছে। ২৮ বছর এই মিডফিল্ডার মূলত এটাকিং মিডফিল্ড পজিশনে খেললেও এর পাশাপাশি দুই উইংয়ের ভারও সামলাতে পারেন।
শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র আগামী মৌসুমে নিজেদের আক্রমণ ভাগে সবচেয়ে বেশী জোর দিয়েছে। তাইতো নিজেদের আক্রমণ ভাগের জন্যে তিন বিদেশী ফরোয়ার্ডকে দলে নিয়েছে বেঙ্গল ব্লু’রা। তাদের প্রথমজন হলেন বুরুন্ডির সেলেমানি ল্যান্ডি। সেলেমানি ল্যান্ডি গত মৌসুমে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের হয়ে বিপিএলে খেলেছেন। গত ২২-২৩ মৌসুমে মুক্তিযোদ্ধার হয়ে আহামরি কিছু করতে পারলেও ১৯ ম্যাচ খেলে ৫ গোলের সাথে ১ টি এসিস্ট করেছে।
এছাড়া শেখ রাসেলের বাকি দুই বিদেশী ফরোয়ার্ড হলো উজবেকিস্তানের আবদুল খাকভ এবং হাইতির ফ্রান্টজেটি হেরার্ড।